ইতালিতে আশ্রয় নিলেন সেই শরবত গুলা
‘আফগান কন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শরবত গুলাকে আশ্রয় দিয়েছে ইতালি।
বৃহস্পতিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় ১৯৮৫ সালে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ওই সময়ের কিশোরী শরবত গুলা রুশ আগ্রাসনে নিপীড়িত আফগানদের প্রতীকে পরিণত হন। ১৯৮৫ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রচ্ছদ ছবিতে স্থান লাভের মাধ্যমে সারাবিশ্বেই পরিচিত হন তিনি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত আগস্টে আফগানিস্তানের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর শরবত গুলা দেশটি ছাড়তে তাকে সহায়তার জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়তে সহায়তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাকে ইতালিতে আশ্রয় দেয়া হয়।
১৯৮৫ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে এসে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রসাংবাদিক স্টিভ ম্যাককুরে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে শরণার্থী শিবির থেকে ওই সময় ১৩ বছর বয়সী কিশোরী শরবত গুলার ছবি তোলেন। সোভিয়েত রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে বাঁচতে অন্য আফগানদের সাথেই শরবত গুলার পরিবার পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলো।
স্টিভ ম্যাককুরের তোলা সবুজ চোখের কিশোরী শরবত গুলার ছবি রুশ আগ্রাসনে রুশ আগ্রাসনের শিকার আফগানদের দুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়।
পরে দীর্ঘদিন এই কিশোরীর কোনো সন্ধান না থাকলেও ২০০২ সালে ম্যাককুরে আবার আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে গিয়ে শরবত গুলাকে খুঁজে বের করেন।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড