ইন্টারপোলের সভাপতি হলেন সেই আহমেদ নাসের আল-রাইসি
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের নতুন সভাপতি হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আহমেদ নাসের আল-রাইসি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল, তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা রয়েছে।
জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রাইসি আগামী চার বছর ইন্টারপোলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
আমিরাতের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফ্রান্স ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে মামলা রয়েছে।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্যা গার্ডিয়ান এক খবরে বলেছে, নির্বাচনের আগে ইন্টারপোলকে ইউএই’র তরফ থেকে বড় অঙ্কের চাঁদা দেয়া হয়েছে। এ কারণে আল-রাইসিকে ইন্টারপোলের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে ইন্টারপোলের সাংগঠনিক কাঠামোতে আল-রাইসির সভাপতি পদটি মূলত আলঙ্কারিক।
সংগঠনটির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব ইন্টারপোলের মহাসচিব ইওর্গেন স্টকের ওপর। সংস্থাটির সদর দফতর ফ্রান্সের লিঁয় শহরে।
কিন্তু, ইন্টারপোলের মতো একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রাইসিকে নির্বাচিত করেছে এতেই ক্ষুব্ধ মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এমনকি ইউএই যখন সভাপতি নির্বাচনের জন্য তাকে মনোনয়ন দেয় তখনই হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ প্রায় ২০টি মানবাধিকার সংস্থা একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে এবং তাকে ইন্টারপোলের প্রধান পদে বিবেচনা না করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।
অবশ্য আল-রাইসি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফ্রান্স-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা দ্যা গালফ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস গত জুন মাসে জেনারেল আল-রাইসির বিরুদ্ধে প্যারিসের এক আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
এতে অভিযোগ করা হয়, ইউএইতে ২০১৭ সালে আটক একজন প্রসিদ্ধ ভিন্নমতাবলম্বী আহমেদ মনসুরের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার পেছনে রয়েছেন জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রাইসি।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তুরস্ক ও সুইডেনে।
চলতি মাসে জার্মানির সংসদের তিনজন সদস্য এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, জেনারেল আল-রাইসিকে নিয়োগ করা হলে ইন্টারপোলের সুনাম বিনষ্ট হবে।
কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত এ আশঙ্কা নাকচ করে বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি’ এবং সেজন্য তারা গর্বিত।
সূত্র : বিবিসি