নলছিটিতে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে তিনতলা ভবনসহ জমি দখলের অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটিতে তিনতলা একটি ভবনসহ সম্পত্তি জোর করে দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার মানপাশা গ্রামের সাইদ হাসান বাপ্পি নামে এক যুবক মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আপন চাচা শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বাপ্পির মা নাজনীন আক্তারও বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, নলছিটি উপজেলার মানপাশা গ্রামের জেএল নং-১০৫, খতিয়ান নং-৩৮৫, এসএ দাগ নং-৩১৪ ও ৩১৫, বিএস খতিয়ান নং-১২১, বিএস দাগ নং-৬২৭ এর ৬১ শতাংশ জমির উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক আজিজুল হক ও শহিদুল ইসলাম। তারা দুজনে মিলে ২০১০ সালে যৌথভাবে জমিতে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি বড় ভাই আজিজুল হকের মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েন আজিজুল হকের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আজিজুল হকের মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তাদের হুমকি দিতে থাকে শহিদুল। একপর্যায়ে অরেজিস্ট্রিকৃত একটি স্ট্যাম্পে অবৈধভাবে ফসলী জমিতে এওয়াজ বদল দেখিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর ভবন থেকে জোর করে বাপ্পি, তার মা ও বোনদের নামিয়ে দেয় অভিযুক্ত শহিদুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ওই জমিতে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া বাপ্পি, নাসরিন আক্তার মুন্নি ও জান্নাতুন নেছা কাফি নিজ নিজ নামে সম্পত্তির রেকর্ড করে সরকারি খাজনাও পরিশোধ করেছেন। জমিজমা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিলে গত ১৩ অক্টোবর নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাইদ হাসান বাপ্পি। চাচার হাত থেকে নিজেদের ভবণের অর্ধেকাংশ ও জমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বাপ্পির মা নাজনীন আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর মারা যাবার সময় দেবর শহিদুল ইসলাম শাশুড়ির গর্ভে ছিলেন। ছেলের মতো আদর সোহাগ দিয়েই তাকে বড় করেছি। শৈশব থেকেই শহিদুল অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলো। যার কারণে বিভিন্ন শালিস ব্যবস্থায় আমার স্বামী আজিজুল হক ক্ষমা প্রার্থণা ও জরিমানা দিয়ে শহিদুলকে রক্ষা করেছন। বাবা না থাকায় আমরা তাকে সেই কষ্ট বুঝতে না দিয়ে আগলে রেখেছি। কখনো ভাবতে পারিনি সে আমাদের ওপর অবিচার করবে। জমির বিষয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার শালিস মিমাংসায় বসলেও শহিদুল তা উপেক্ষা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।