যে ২২টি বিষয় জাতীয়তাবাদী নেতা-কর্মীদের জানতেই হবে

0
সত্য উন্মোচিত হোক
যে ২২টি বিষয় সব জাতীয়তাবাদী নেতা-কর্মীদের জানতেই হবেঃ
১. ১৫ অগাষ্ট হত্যার পর বাকশাল নেতা মোশতাক রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন। গঠন করেন মন্ত্রীসভা। বাকশাল মন্ত্রীসভার প্রায়সকলে মোশতাকের মন্ত্রীসভার সভায় ছিলেন।
২. মোশতাক সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন। ঐ সময় সেনাপ্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ।
৩. মুক্তিযোদ্ধা জিয়া সে সময় সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ছিলেন।
৪. ১৫ অগাষ্টের পরে মোশতাকের মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে যাননি জিয়াউর রহমান। বিজয়ীর বেশে গিয়েছিল তাহের-ইনু বাহিনী এবং তৎকালীন মুজিব বিরোধী নেতারা।
৫. ১৫ অগাষ্টের পরেও কমপক্ষে দশ দিন, অর্থাৎ ২৪শে আগাষ্ট পর্যন্ত জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান।
৬. রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারি চাকুরী কনফার্ম করারপর ‘সেনাপ্রধান’ পদ ছাড়েন শফিউল্লাহ। এরপর যথা নিয়মে ডেপুটি চীফ অব ষ্টাফ থেকে প্রমোশন পেয়ে ২৫শে আগষ্ট সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান।
৭. সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর রক্ষী বাহিনীর প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী পেশাদার ও সেনাবাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন শহীদ জিয়া।
৮. জিয়াকে মেনে নিতে পারেননি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। তিনি ভেতরে ভেতরে জিয়াউর রহমানকে সরানোর চক্রান্ত শুরু করেন।
৯. তার অংশ হিসেবে খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোশতাকের অনুমোদন নিয়ে মেজর জেনারেল হিসেবে নিজে নিজের প্রমোশন নেন এবং এরপর প্রশাসন চলে যায় খালেদ মোশারফের নিয়ন্ত্রণে।
১১. ১৯৭৫ সালের ৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোশতাক। মোশতাক এবং খালেদ বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেন ৬ই নভেম্বর। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি। শেখ মুজিবুর রহমান ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ এ দেশে ফেরার ২ দিন পর ১২ জানুয়ারী সায়েমকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।
১২. ১৫ই আগাষ্ট থেকে মোশতাক-শফিউল্লাহর জারী করা সামরিক আইন বহালথাকায় রাষ্ট্রপতি সায়েম একাধারে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, ৭ই নভেম্বর সংঘটিত হয় সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব। জিয়াকে বের করে আনা হয় বন্দীদশা থেকে।
১৩. ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলের মধ্যে সংঘটিত হয় ৪ নেতা হত্যাকান্ড। আবার ৬ই নভেম্বর পাল্টা ক্যু’তে নিহত হন খালেদ মোশারফ। ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সায়েম।
১৪. অর্থাৎ জেল হত্যাকান্ডের সময় জিয়া বন্দী ছিলেন। ক্ষমতা ছিল খালেদের হাতে।
১৫. ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপ্রতি সায়েম। অঅর্থাৎ CMLA পদ থেকেও সরে যান। ফলে প্রেসিডেন্ট এবং CMLA উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দাযিত্ব আসে জিয়াউর রহমানের কাঁধে।
১৬. ৩রা জুন ১৯৭৮ঃ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার গৌরব অর্জন করেন প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া। ঐ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন।
১৭. ১৯৭৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ২৬০টি এবং আওয়ামীলীগ ৩৯টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে মোট ২৯টি দল অংশ নেয়।
১৮. ১৯৭৮ সালের মে মাসে শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
১৯. এই কর্মসূচীর উপর জনগনের আস্থা আছে কিনা সেটি যাচাইয়ে ৩০শে মে ১৯৭৮ এ গণভোট হয়।
২০. জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করেননি। ১৫ই আগস্ট সামরিক আইন জারী করেন মোশতাক। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বরং তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন।
২১. জিয়াউর রহমান ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেননি। ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল মোশতাক সরকার ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর।
২২. জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করেন নি। ১৯৭৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যে কিনা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলো শেখ মুজিব কর্তৃক।
প্রতিবেদনটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বক্তব্য থেকে নেয়া।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com