আওয়ামী লীগ গিরগিটির মতো রঙ পালটায়: আলাল
সরকার আওয়ামী লীগের ইতিহাস ছাড়া অন্য সব ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সরকার ইতিহাসের এমন অবস্থা করেছে যে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর সকল ইতিহাসে ধুলো ময়লা বসে একাকার হয়ে গেছে। যা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতেও কয়েকশত বছর লেগে যাবে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আলোচনা সভায় ও দোয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ গিরগিটির মতো রঙ পালটায় আবার কখনো সূর্যমুখীর মতো যেদিকে সূর্য সেদিকে ফিরে থাকে। এরা কখন জামায়াতের গোলাম আজমকে আপন বানায় কখন আবার তাকে শত্রু করে তা বুঝা মুশকিল, হেফজতের কখন কওমি জননী হয় আবার কখন তাদের তেঁতুল হুজুর বলে গালি দেয় সেটাও বোঝা মুশকিল। এসব বুঝতেই তো দিন রাত পার হয়ে যায়। তাই এদের হিসাব-নিকাশ করে কূল পাবেন না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেন, তারেক জিয়ার সাহস কতো। এটা অনেকটা চট্টগ্রামের জব্বারের বলি খেলার আহ্বানের মতো মনে হয়। এটা তো আপনার মুখে মানায় না। তিনি তো আপনার ছেলের থেকেও কম বয়সী। যদি তারেক রহমান এর উত্তরে কিছু নাও বলেন আমি বলতে চাই, আজ তারেক রহমানকে এভাবে সাহসের কথা বলছেন আপনি কেন ১৫ আগস্টের পর দেশে আসেন নি। এটা আপনার মুখে মানায় না। রাজনীতি কি বল্লম যুদ্ধের জায়গা?
আলাল বলেন, ‘শেখ মুজিবের অবর্তমানে যে চার নেতা এবং রণাঙ্গণে যারা ছিলেন তাদের সমন্বয়ে ১৭ এপ্রিল সরকার গঠিত হয়েছিল সেটাকে সরকার ঠিকভাবে স্মরণ করে না। কিন্তু নিজের বাবা-মায়ের জন্মদিন চলে এসেছে তাদের প্রথম ক্যাটাগরির সম্মানে। কারণ এটা করলে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদরা শেখ মুজিবের উপরে উঠে যায়। এই সরকার টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এজন্য আজ পর্যন্ত এটাকে রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি।
রাজনীতির পরিবেশকে এই সরকার নষ্ট করে ফেলেছে। যারা নতুন ভোটার হয়েছে কিন্তু চাকরি ছাড়া কোথাও আর তা ব্যবহার করতে পারেনি, তাদেরকে আমাদের শোনাতে হবে যে আমাদের একটি গৌরোবজ্জ্বল ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের একটি রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম রয়েছে। এই সরকার দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। তাহলেই ৭ নভেম্বরের মূল যে মর্মবাণী তা প্রকাশ হবে।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির আরও অনেক নেতা।