সরকার কর্তৃক আইন করে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগে রুমিন ফারহানার উদ্বেগ
সরকার কর্তৃক আইন করে দেশের সবার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও তা প্রয়োজনে ব্যবহার করার উদ্যোগে জাতীয় সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা।
এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, বিগত এক যুগ ধরে সরকার কীভাবে তথ্য নেয় এবং সেটা জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে তা আমরা দেখেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে কীভাবে মামলা দেয়, আমাদের কীভাবে জেলে পাঠায় এবং সেখানে কী আচরণ করে সেটা তো আমরা দেখেছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে একটি আইন প্রণয়নের সময় জনমত যাচাইয়ের উপর বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে রুমিন ফারহানা বলেন, ইতিহাস লিখবেন ইতিহাসবিদরা। ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করবেন গবেষকরা। কিন্তু ইতিহাস যখন রাজনীতিবিদরা লেখা আরম্ভ করেন, ইতিহাস যখন আইনের অংশ হয়ে যায়, তখন তো বড় মুশকিল।
তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার বাংলাদেশের আর্কাইভ বিল, ২০২১ পড়তে গিয়ে দেখলাম সরকার ২৫ বা ততোধিক বছরের পুরোনো নথি সংরক্ষণ করতে পারবে। ২৫ বছরের পুরোনো নথি সংরক্ষণের উদ্যোগ খুবই চমৎকার। তবে সেটা যদি রাজনৈতিক হয়, নিজের পছন্দ মতো নথি হয়, যদি নিজের লেখা হয়, তাহলে তো বড় মুশকিল।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রথম আলোতে একটি রিপোর্ট দেখলাম। সরকার শুধু অতীতের নয়, জনগণের সব তথ্য নিতে অত্যন্ত উদগ্রীব। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের। সরকার নাগরিকদের বর্তমানের তথ্য নিয়ে একটি ডিজিটাল আর্কাইভ করতে চায়, সে ঘোষণা সরকার দিয়েছে। পার্সোনাল ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নামে একটি আইন তৈরি হচ্ছে।
‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ধাক্কা তো আছেই। সেই সাথে আবার যুক্ত হয়েছে পার্সোনাল ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট। এই আইনের পার্সোনাল ডাটা বাংলাদেশের ভেতরে রাখার নামে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, অ্যামাজনসহ বাংলাদেশে সার্ভার স্থাপন করতে হবে। এ পর্যন্ত হলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু সেখান থেকে যে কোনো তথ্য সরকার নিতে পারবে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে। বিগত এক যুগ ধরে সরকার কীভাবে তথ্য নেয় এবং সেটা জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে, ডিজিটাল সিকিউরিটি দিয়ে কীভাবে মামলা দেয় আমাদের কীভাবে জেলে পাঠায় এবং সেখানে কীভাবে আচরণ করে সেটা তো আমরা দেখেছি।