সত্যিকারের ‘রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের’ অপমান করা হচ্ছে: রিজভী

0

যারা সত্যিকারের রণাঙ্গনের যোদ্ধা বর্তমানে তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, আপনার (শেখ হাসিনা) স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? সে বইতে লিখেছেন আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি। তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন? আপনার চারপাশের চামচাদের?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা, আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ চেয়ে ছিলেন কিনা? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন কিনা, নাকি বৃহত্তর পাকিস্তানের ক্ষমতা ছেয়েছিলেন এটা এখন গবেষণার প্রধান টপিক।’

সোমবার (৩০ আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা তার ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই তিন সত্য কথা বলেন, লিখনীর ক্ষুরধার, আর লিখনী ক্ষুরধার হলে এই সরকারের সমালোচনা আসবে। একজন বিবেকবান মানুষ যদি সে সাংবাদিক হয় তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছে, সন্ত্রাস করছে, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান এমপি মন্ত্রী হন।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবস, এই দেশে অনেকেই গুম হচ্ছে হয়েছে। আর এসব গুমের মূল হোতা এই সরকার।গুমের মত একটি বিষয় আজ আমাদের জনগণের মুখেমুখে। কারণ এটিকে জনসংস্কৃতি অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে পরিণত করেছে এই সরকার। প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষ আতঙ্ক বিরাজ করছে কখন তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গুমের সংস্কৃতি চালু করেছে এই সরকার।

সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ এরা সব সময় সত্য কথা দেশের পক্ষে বলেছেন। সত্য কথা, দেশের পক্ষে বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সেইজন্যে এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের এসরকার স্বীকৃতি দেয়নি। যারা টিক্কা খানের চাকরি করেছে। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেয় তারা আওয়ামী লীগের কাছে তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হয়।

তিনি বলেন, দেশে যে অন্ধকার অত্যাচার নিমজ্জিত হয়েছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু রাজনৈতিক দল নয় পেশাজীবী সংগঠন সহ সকলকে সংগ্রাম করতে হবে। এই অত্যাচারীর হাত থেকে মুক্তি না পেলে রুহুল আমিন গাজীর মত বরেণ্য ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে বে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com