জিয়া-খালেদা’র ‘নেতৃত্ব’ আর ‘জনপ্রিয়তার’ কাছে আওয়ামী লীগ অসহায়: তারেক রহমান

0

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে নিজেদের ব্যর্থ ও কলুষিত রাজনীতির কদর্য চেহারা আড়াল করতে তারা স্বাধীনতার ঘোষকের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অপপ্রচার চালাচ্ছে।

‘ইতিহাস কথা কয়’ শিরোনামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, যারা ১৫ আগষ্টের প্রেক্ষাপট তৈরী করেছিল, যাদের কারণে কিংবা যাদের জন্য ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয়েছিল, ১৫ আগস্ট ঘটাতে যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরক্ষসহায়তা করেছিল, যারা ১৫ আগষ্টের বেনিফিশিয়ারি, তারা এখন সবাই মহাজোটের নামে ‘একজোট’ হয়েছে। ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি ‘মহাজোটে’র নামে ‘একজোট’ হয়ে এখন তাদের সকল অপকর্মের দায় বিএনপির উপর চাপাতে চাইছে। নিজেদের কলংকিত ইতিহাস ঢাকতে, এখন এই অপশক্তির, নির্লজ্জ মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের টার্গেট স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, র্যাব-পুলিশের হুমকি ধামকি, হামলা মামলা, গুম খুন, অপহরণ কিংবা সীমান্তের ওপারে ফেলে রেখে আসার ভয় দেখিয়ে, বর্তমানে ১৫ আগস্ট এবং এর পূর্বাপর পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি তথ্য বিকৃতি চলছে।

তবে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে এখন যে – যাই বলুক, ১৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সরকারের মন্ত্রী এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে, ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারটি গঠন করায়, এটি প্রমাণিত, ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্ধ -বিরোধের নির্মম বহিঃপ্রকাশ ছিল ১৫ আগস্ট। এই অপ্রিয় সত্যটি আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে না চাইলেও, এটাই বাস্তবতা, এটাই ইতিহাস, বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, তাই, আওয়ামী লীগ এখন ইতিহাস বিকৃতিতে মেতে উঠেছে। ১৫ আগস্ট নিয়ে নিত্য নতুন গল্প তৈরী করছে, কল্পকাহিনী প্রচার করছে। নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন এবার নেপথ্যে কারা সেটি আবিষ্কার করবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বছরের পর বছর ধরে দেশে হিংসা-বিদ্বেষ-বিভেদ-বিরোধ ছড়িয়ে, মিথ্যাচার চালিয়ে, দেশের অগণিত, অসংখ্য মানুষকে গুম-খুন অপহরণ করেও তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এবার ১৫ আগষ্ট নিয়ে তাদের মাথায় ‘আবিষ্কারে’র নেশা চেপেছে।

১৫ আগস্ট নিয়ে নতুন করে আবিষ্কারের কিছু নেই। বরং, ১৫ আগষ্টের পূর্বাপর ঘটনাবলী নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা আওয়ামী ঘরানার লেখক বুদ্ধিজীবীদের লেখা অসংখ্য বইপত্রেই অনেক সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান রয়েছে। শুধু সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব জানার এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে, বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, ১৫ আগষ্টের প্রকৃত বিচার করতে হলে, আসল রহস্য জানতে হলে, যাদেরকে টার্গেট করা দরকার ছিল, ক্ষমতার লোভে তাদেরকে মহাজোটের সঙ্গী কিংবা বিনাভোটের এমপি-মন্ত্রী বানিয়ে , প্রকৃত সত্য জানা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ১৫ আগষ্ট কিংবা তার পূর্বেকার স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ড সম্পর্কে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতারাই জানতেন। এমনকি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কিংবা এইচ এম কামরুজ্জামানের মতো সিনিয়র নেতারাও তৎকালীন পরিস্থিতির কঠিন পরিণতি
সম্পর্কে আগাম তথ্য পেয়েছিলেন।

‘১৫ আগস্ট নিয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লিখিত ‘ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস’ এর ২৮৯ – ৯০ পৃষ্ঠা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম শেখ আব্দুল আজিজ লিখিত ‘রাজনীতির সেকাল ও একাল’ বইয়ে ৩৭৮ নম্বর পৃষ্ঠায় এর কিছু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে’ বলেন তারেক রহমান।

ইতিহাস গবেষক আলতাফ পারভেজ এর লেখা “অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ, কর্নেল তাহের ও জাসদের রাজনীতি” বইয়ের ৮২ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে একটি তথ্য উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের দশ দিন আগে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎকালীন ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এ সময় জেনারেল জিয়াউর রহমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেনাবাহিনীতে চলমান অসন্তোষের কথা প্রেসিডেন্টকে জানান। এমনকি তিনি সেনা অভ্যূত্থানের সম্ভাবনার ব্যাপারেও প্রেসিডেন্টকে তথ্য দিয়েছিলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট ‘ফার ইস্টার্ন ইকোনোমিক রিভিউ’ পত্রিকায়ও এমন একটি তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, উপ-সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানের দেয়া তথ্য সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব সেনাপ্রধান শফিউল্লাহর কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জেনারেল শফিউল্লাহ জবাবে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন ‘সেনাবাহিনী ঠিক আছে’।

‘সেই সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ এখন স্বাধীনতার ঘোষকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাইক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনারা অনেকেই জানেন, এই জেনারেল শফিউল্লাহ ২০১৪ সালে অন রেকর্ড বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে শেখ সেলিম জড়িত। জবাবে, শেখ সেলিম অন রেকর্ড বলেছেন, ১৫ আগষ্টের সঙ্গে জেনারেল শফিউল্লাহ জড়িত’ বলেন তারেক রহমান।

বিভিন্ন বইয়ের উদৃতি দিয়ে তারেক রহমান আরো বলেন, ১৫ আগষ্টের সময়কার সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ ২৪ আগস্ট বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে। বঙ্গভবনে পৌঁছার পর নবনিযুক্ত ডিফেন্স সেক্রেটারি জেনারেল ওসমানী ১৫ আগষ্টের ঘটনা প্রসঙ্গে জেনারেল শফিঊল্লাহকে বলেন, ‘তুমি দেশের জন্য অনেক কিছু করেছো, এখন তোমার সার্ভিস বিদেশে দরকার। ঐদিনই, ওই সাক্ষাতেই , জেনারেল শফিঊল্লাহ’র চাকুরী রাষ্ট্রদূত হিসেবে কনফার্ম হয়ে যায়। এরপর থেকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন দেশে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চাকুরী করেন জেনারেল শফিউল্লাহ।

‘৯০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে বিদেশে থাকার পরও জেনারেল শফিউল্লাহ ১৫ আগষ্টের ব্যাপারে কোথাও কি একটি টু-শব্দ-ও উচ্চারণ করেছিলেন? এ প্রশ্ন করে তারেক রহমান বলেন, তাহলে ১৫ আগষ্টের কোন সাফল্যের কারণে জেনারেল শফিউল্লাহকে আওয়ামী লীগ এমপি বানিয়ে পার্লামেন্টে বসিয়েছে ? ‘

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালানোর আগে তরুণ প্রজন্মের সামনে আওয়ামী লীগকে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব স্পষ্ট করতে হবে। আওয়ামী লীগকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, ৭৫ এর ১৫ আগষ্টে তৎকালীন সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, বিডিআর প্রধান, পুলিশ প্রধানের কি ভূমিকা ছিল? ১৫ আগষ্টে কি ভূমিকা ছিল সেনাবাহিনীর বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলা পেশাদার খুনি রক্ষীবাহিনী কিংবা সশস্ত্র গণবাহিনীর? ১৫ আগষ্টে কি ভূমিকা ছিল তৎকালীন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের। আগামী দিনের বাংলাদেশ এসব প্রশ্নের জবাব চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শুধুমাত্র ১৫ আগষ্টের সময়কার বিডিআর চীফ মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে প্রমোশন দেয়ার জন্য, ১৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লিগ সরকার সেনা-বিমান ও নৌবাহিনী এই তিনবাহিনীর উপরে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ/সিডিএস’ নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ, সিডিএস পদে জেনারেল খলিলকে নিয়োগ দেয়া হয়। ৭৫ সালের ৩ নভেন্বর জেল হত্যাকাণ্ডের সময়ও জেনারেল খলিল /সিডিএস ছিলেন। তখন কি ভূমিকা ছিল জেনারেল খলিলের ? জনগণ জানতে চায়, ১৫ আগস্ট এবং জেল হত্যাকাণ্ডে জেনারেল খলিলের এমন কি সাফল্য ছিল যেজন্য ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নিজেদের দল থেকে মনোনয়ন দিয়ে জেনারেল খলিলকে এমপি বানিয়ে পার্লামেন্টে বসায়।

খোন্দকার মোশতাক নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার, উভয় সরকারের কাছেই জেনারেল খলিল কেন এতো প্রিয় ছিলেন ? ১৫ আগষ্টে কোন সাফল্যের কারণে ১৫ আগষ্টের সময়কার বিমানবাহিনী প্রধান এ কে খন্দকারকে মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছিলো আওয়ামী লীগ, প্রশ্ন তারেক রহমানের।

রক্ষীবাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টর আনোয়ারুল আলমের লেখা ‘রক্ষী বাহিনীর সত্য মিথ্যা’ বইয়ের ১৮৮ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখিত একটি বরাত দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ১৫ আগষ্টের ঘটনার পর সকালে রক্ষীবাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টর আনোয়ারুল আলম শহীদ এবং কর্নেল সারোয়ার হোসেনকে ডেকে পাঠান সেনাবাহিনীর তৎকালীন চিফ অব জেনারেল স্টাফ/সিজিএস খালেদ মোশাররফ। তদেরকে খালেদ মোশাররাফ বলেন, “Shahid, Sarwar, I know, you are patriots, but we had to do it. because we don’t want this country to be a kingdom.” । অথচ সেই খালেদ মোশাররাফের ভাই-সন্তান আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ আগষ্টের ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্বেচ্ছায় রেডিও অফিসে গিয়েছিলেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত তাহের, তার ভাই গণবাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেন এবং হাসানুল হক ইনু। সেখানে তারা আওয়ামী লীগের নতুন সরকারকে স্বাগত জানান। এর দু’দিন পর ১৭ আগস্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত তাহের বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া।’ ১৫ আগস্টের ঘটনায় জাসদ গণবাহিনী প্রচারিত লিফলেটের শিরোনাম ছিল ‘খুনি মুজিব খুন হয়েছে, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।’

এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে কি কারণে ২০০৯ সালে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে কর্নেল তাহের গ্রহণীয় হয়ে উঠলেন? কি কারণে গণবাহিনীর নেতা হাসানুল হক ইনুকে বিনাভোটের এমপি-মন্ত্রী আর আনোয়ার হোসেনকে ভিসি বানিয়েছিলো আওয়ামী লীগ ?

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ছাত্র মাত্রই জানেন, হাসানুল হক ইনু-কর্নেল তাহের কিংবা মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররাফ কোনো হিসেবেই একই নৌকায় উঠতে পারেননা। তবুও এদের সবাইকে একই নৌকায় ওঠানোর একমাত্র উদ্দেশ্য স্বাধীনতার ঘোষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো। কথায় বলে, সব শিয়ালের এক ‘রা’.

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব আর বিএনপির জনপ্রিয়তার কাছে আওয়ামী লীগ অসহায়।

স্বাধীনতার ঘোষকের শুদ্ধ ও স্বচ্ছ রাজনীতির আয়নায়, জনগণের সামনে ভেসে ওঠে আওয়ামী লীগের কালিমালিপ্ত রাজনীতির কদর্য রূপ। তাই, আওয়ামী লীগ নিজেদের কলুষিত রাজনীতির কদর্য চেহারা আড়াল করতে ব্যর্থ হয়ে এখন স্বাধীনতার ঘোষকের ইমেজ নষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ক্ষমতার লোভে ১৫ আগষ্টের ঘটনায় প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ জড়িতদের সঙ্গেই তারা হাত মিলিয়েছে, বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, মিথ্যাচার, অপপ্রচার গুম খুন অপহরণ চালিয়ে ক্ষমতা হয়তো কয়েক মাস, বছর দীর্ঘায়িত করা যায়। কিন্তু সেটিই রাজনীতির সফলতা নয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, নির্মম নিষ্ঠুরতা চালিয়ে হিটলারও প্রায় একযুগ ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ইতিহাসে হিটলার এখন ঘৃণিত নাম।

মহাজোটের নামে ‘একজোট’ হওয়া ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তির তৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমান বলেন, এই অপশক্তি সেনাবাহিনীতে বিরোধ তৈরী করে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখতে চায়। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে রাখতে চায়। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এখন তারা ১৫ আগস্ট নিয়ে ‘কমিশন’ তৈরীর হাঁকডাক শুরু করেছে।

তারেক রহমান বলেন, একটি নয় আরো অনেক কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। জনরায়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিএনপি আরো কমিশন গঠন করবে, বিএনপির কমিশন করা প্রয়োজন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বিরোধী দল ও মতের ৪০ হাজার মানুষকে কারা, কিভাবে হত্যা করেছে। কি ছিল রক্ষীবাহিনীর ভূমিকা। রক্ষীবাহিনীর খুনের বিচার বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি জারি হলো?

কমিশন গঠন প্রয়োজন, ৭৫ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেনাবাহিনীতে কারা অস্থিরতা সৃষ্টি করলো? ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সেনা কর্মকর্তাদেরকে কারা – কেন হত্যা করেছিল?

তারেক রহমান আরো বলেন, দেশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। এদের কেস কমিশন গঠন করে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। সংঘবদ্ধ এই চক্রের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স-শক্তি-সামর্থ থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের মনগড়া রচনা তৈরী করছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, জনগণ মাফিয়া মুক্ত বাংলাদেশ চায়। পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তনের দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে, পরিবর্তনের নেতৃত্ব বিএনপিকেই দিতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com