জনগণের এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি: গয়েশ্বর

0

সরকার নানাভাবে ফাঁদে ফেলে ২০১৮ সালের মতো বিএনপিকে আবারও নির্বাচনের মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, ‘এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে তারা নির্বাচনে যাবেন কিনা? হাসিনাকে নির্বাচনে না নিয়ে নূরুল হুদাকে রেখে নির্বাচনে গেলে একটি ফেরেশতা এনেও যদি নির্বাচন করানো হয় তাহলেও সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোনও উপায় নেই।’

সোমবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি। জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই পদত্যাগে যদি সব সমস্যার সমাধান হয় তাহলে প্রতিটি সমস্যা নিয়ে আমরা কেন কথা বলবো। তিনিতো (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছে করে খুকুমণি-পরীমনির মতো ইস্যু কয়েকদিন পরপর সামনে নিয়ে আসছেন। এটা বুঝতে হবে না আমাদের। আর আমরা সব বুঝেও গেছি।’

তিনি বলেন, ‘একটাই কথা রাখি, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে আমরা বাধ্য করবো। এক দফার আন্দোলনেই সুরাহা হবে। জনগণের আন্দোলন কখনোই বৃথা যায় না। আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার। আমাদের আন্দোলন রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার। আমাদের আন্দোলন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার। আমাদের আন্দোলন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার।’

হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবেন, কোন আইনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেননি? কোন আইনের বলে? স্বাধীনতার উত্তরকালে ফাঁসির আসামির জামিন হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজার আসামির তো প্রায়ই হয়। যেনতেন আসামিরও জামিন হয়, খালেদা জিয়ার জামিন হয় না কেন?’

বিচারপতিদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আপনারা একটু ব্যাখ্যা করবেন খালেদা জিয়াকে কোন আইনের বলে জামিন দেন নাই? এটা জনগণ জানতে চায়? আদালত প্রশাসন সব শেখ হাসিনার আঁচলের গিট্টায় বাঁধা, এই আঁচল কাটতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে করোনায় না মরে রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়ে ইতিহাসের বুকে নিজের নামটা লিখে যাই। চাকরি করলে আরও ১২ বছর আগে বড় সচিব থেকে অবসরে যেতাম, ব্যবসা করলে ওই দরবেশের মতো আমরাও ব্যবসায়ী হতাম। আমরা আসছি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য। কার কত টাকা হয়েছে এতে আমাদের কোন হিংসে নেই। সময় মতো হিসেব দিতে হবে টাকাটা কিভাবে হলো। কোন পথে হলো। বড়লোক হওয়াটা অপরাধ নয়, কারণ বড় লোক কি করে হলেন, এটাকি পকেট মেরে হইলেন, নাকি ছিনতাই করে হিলেন নাকি প্রতারণা করে হইলেন সেটা দেখার বিষয় রয়েছে।’

গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসবে, আর সেদিনতো বিমানবন্দরে মানুষের জায়গা হবে না, এটাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। তারেক রহমানের নাম মাতৃ কোলে শিশুর কানে পৌঁছে দিচ্ছে আমরা যতটা না, তার থেকে বেশি সরকার। তারেক রহমানকে নিয়ে যতটা প্রচার তারা করছে, ততটা প্রচার আমরা করতে পারছি না।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com