মোদির ‘ধোঁকাবাজি’, পাকিস্তানের নিন্দা
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। দেশ ভাগ নিয়ে টুইটারে নরেন্দ্র মোদি ‘ইতিহাস বিকৃত’ করছেন বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। একে মোদির ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে সমালোচনা করেছে পাকিস্তান।
এ খবর দিয়ে অনলাইন ডন লিখেছে, ১৪ই আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এদিনকে ভারতে ‘পার্টিশন হররস রিমেমব্রান্স ডে’ বা দেশভাগের ভীতিকর দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেন মোদি। পাকিস্তান যখন ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছিল, তখন টুইটারে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি দেশভাগের সময়কার উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘নির্বোধের মতো ঘৃণা এবং সহিংসতার ফলে আমাদের লাখ লাখ ভাই ও বোন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের এসব মানুষের সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগকে ১৪ই আগস্ট পালন করা হবে পার্টিশন হররস রিমেমব্রান্স ডে হিসেবে।’
মোদি আরও যোগ করেন, এই দিনটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, সামাজিক বিভক্তি, বৈষম্যকে মুছে ফেলতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে মানুষের একত্বের স্পৃহা, সামাজিক সম্প্রতি এবং মানবের ক্ষমতায়ন।
নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক এবং প্রচারণা বিষয়ক ধোঁকাবাজি বলে আখ্যায়িত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তথাকথিত ‘সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের’ দেশ হিসেবে ভারত তার নিজের সঙ্গে যে বিপরীতার্থক অবস্থান নিয়েছে, তা আধুনিক আর কোনো রাষ্ট্রে দেখা যায় না। এটা লজ্জাজনক যে, হিন্দুত্ববাদের অনুসারীরা এবং ঘৃণা ও সহিংসতার পরিশোধকরা এতটাই কপটতা দেখাবেন। তারা ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার সময়ে যেসব বিয়োগান্তক ঘটনা এবং অভিবাসীর ঢল নেমেছিল- তা একপেশেভাবে উপস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা এবং সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করা হলো আরএসএস-বিজেপি শাসকগোষ্ঠীর বিশেষ এক গুণ। পুরনো ক্ষত সারিয়ে তোলার চেয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আরো বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাাত্র বলেন, পাকিস্তান নিশ্চিত ছিল একটি বিষয়ে। তা হলো ভারতের জনগণের শুভবুদ্ধি এইসব রাজনৈতিক এবং প্রচারণাবিষয়ক ধোঁকাবাজিকে প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ, এই ধোঁকাবাজি শুধুই বিভক্তি বাড়ায়।