চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ কর্মসূচিতে বাড়ছে উদ্বেগ!
মহাকাশ কর্মসূচিতে ক্রমশই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠছে চীন। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে ক্রমাগত বাড়ছে উদ্বেগও। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো পৃথিবীর ওপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য চীন যে লক্ষ্য স্থির করেছে তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।
নয়াদিল্লিভিত্তিক একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার আসাদ মির্জা লিখেছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ চীনের মহাকাশ ক্ষমতাকে বিশ্ব শান্তির জন্য ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাদের নিজস্ব বা উন্নত দেশগুলির সহযোগিতায় একটি মহাকাশ কর্মসূচি অনুসরণ করে। যা প্রকাশ্য এবং যার উদ্দেশ্য মানুষের মঙ্গল। কিন্তু চীন অত্যন্ত গোপনীয় মহাকাশ কর্মসূচি অনুসরণ করে, যা মানবজাতিকে মহাকাশ যুদ্ধের মধ্যে ফেলতে পারে।
আগামী এক থেকে দেড় বছরে মহাকাশে আরও ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। তাদের তৈরি মহাকাশ কেন্দ্রটিতে সোলার প্যানেল ও দুটি ল্যাবরেটরি মডিউল স্থাপনা করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) চীনের ব্যবহারে বাধা দেয় ওয়াশিংটন। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করেছে চীন। আগামী ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
যদিও নাসা বলছে, একে ব্যবহার করা যাবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত।
এদিকে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলেছে। আইএসএসের চেয়ে অনেক ছোট তিয়াংগং আগামী ১০ বছর তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। ২০২২ সালের মধ্যেই স্টেশনটি কার্যকর হবে বলে মনে করছে চীনা মহাকাশ সংস্থা চায়নিজ স্পেস এজেন্সি।এ
দিকে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই শি জিন পিং চীনের মহাকাশ শক্তির প্রতি তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মহাকাশ কর্মসূচির উন্নয়ন এবং দেশকে মহাকাশ শক্তিতে পরিণত করা হলো মহাকাশ স্বপ্ন যা আমরা ক্রমাগত অনুসরণ করেছি।
চীনের লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ শক্তি হয়ে ওঠা। ২০১৭ সালের একটি সম্পাদকীয়তে চায়না ডেইলি বলেছিল, চীন মহাকাশ সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিতে একটি সর্বাত্মক বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় দেশে পরিণত হবে। ২০৪৫ সালের মধ্যে এটি বড় আকারে ম্যান-কম্পিউটার সমন্বিত মহাকাশ অনুসন্ধান করতে সক্ষম হবে। চীনা মহাকাশ কর্মসূচির অগ্রগতি এবং গোপন মাত্রা উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।