দখল দিলে পরমাণু হামলা চালাব, তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানকে হুমকি চীনের
তাইওয়ান নিয়ে আবারো যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিল চীন। এবার জাপানের বিরুদ্ধে পরমাণু বোমা ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাইওয়ান নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জাপানের উপর আণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (CCP)।
তাইওয়ান নিউজ সূত্রে খবর, রোববার ইউটিউবের মতো চীনের নিজস্ব ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ‘শিগুয়া’-তে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। সেখানে জাপানের উদ্দেশে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বার্তা দিয়েছে, জাপান যদি তাইওয়ানকে সাহায্য করে তাহলে পরমাণু বোমায় তার জবাব দেয়া হবে।
চীন যদিও যুদ্ধে ‘ফার্স্ট নিউক্লিয়ার স্ট্রাইক’ বা প্রথম আণবিক হামলা না চালাতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু জাপান এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।অর্থাৎ সোজা কথায় তাইওয়ানকে সাহায্য করলে জাপানের উপর পরমাণু হামলা চালাতে পিছপা হবে না চীন।
ওই ভিডিওতে আরো বলা হয়েছে, তাইওয়ান চীনের অংশ। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘মুক্ত করার’ অভিযান চালাবে বেজিং। আর সেই কাজে বাধা দিলে যুদ্ধ হবে। আর ফল ভোগ করতে হবে টোকিওকে।
উল্লেখ্য, ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের পরবর্তী সময়ে সামরিক শক্তির সমীকরণ পালটে দিয়ে দ্রুত উত্থান ঘটছে চীনের। আর ‘ড্রাগন’-এর আগ্রাসনে এশিয়া মহাদেশে ক্ষমতার বর্তমান ভরকেন্দ্র রীতিমতো বদলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরো জটিল করে বেশ কয়েকবারগায়ের জোরে তাইওয়ান দখল করার হুমকি দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এহেন পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাসে কমিউনিস্ট দেশটির কার্যকলাপ নজরে রেখে নয়া চুক্তিতে সই করেছে আমেরিকা ও তাইওয়ান।
সমুদ্রে চীনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূল রক্ষীবাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ–য়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে। ওই জোটের পাশে দাঁড়িয়েছে জাপানও। ফলে সব মিলিয়ে জাপানের সাথে চীনের সংঘাতের আশঙ্কা প্রবল।