রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: ‘গাফিলতি, অবহেলা ও উদাসীনতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপি’র
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক–কর্তৃপক্ষের ‘গাফিলতি, অবহেলা ও উদাসীনতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। আজ শনিবার দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রশ্ন তোলেন– প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুল হাসেম আওয়ামী লীগ নেতা বলেই কি প্রশাসন মালিক–কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অবহেলা ও উদাসীনতাকে আমলে নিচ্ছে না ?
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডের পর সেজান জুস ফ্যাক্টরির মালিক–কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকায় বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফ্যাক্টরির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেই কি প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না? এইঅবহেলা ও উদাসীনতার জন্য দায়ী মালিক–কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জে যেন লাশের মিছিল দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আগুনে অঙ্গার হওয়া নিরীহ শ্রমিকদের এই করুণ পরিণতিতে সমগ্রজাতি হতবাক ও বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন’র নেতৃত্বে সংগঠনের একটিপ্রতিনিধি দল শুক্রবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ–খবর ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, ‘‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা’’-এই প্রবাদটি এখন অতি প্রযোজ্য। মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে গ্রাম–গঞ্জের ছোট প্রজেক্টেও দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এমনকি ভূমিহীন গরিব মানুষের জন্য নির্মিত ঘর যা ঢাক–ঢোল পিটিয়ে“প্রধানমন্ত্রীর উপহার” হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, সেই ঘর নিয়েও সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও দলীয়করণ হয়েছে। হস্তান্তরের আগেই বা হস্তান্তরের পর দু–তিন মাস না যেতেই তা ধসে পড়ছে। এতেই প্রমাণিত হয়– দেশে উন্নয়নের নামে হরিলুট চলছে।’