আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ রুখতে প্রতিবেশী দেশ গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে: ইমরান খান
আফগানিস্তানে দুই দশক পর মার্কিনসহ সব বিদেশী প্রত্যাহরের পর দেশটিতে যাতে কোনো গৃহযুদ্ধ শুরু না হয়, এ জন্য প্রতিবেশীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে আসন্ন গৃহযুদ্ধ রুখতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে হলে প্রতিবেশী দেশগুলোকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার বেলুচিস্তানে এক সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইরানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম রাইসির সাথেও কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খান বলেন, প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে গোটা অঞ্চলে বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথেমধ্য–এশিয়ার দেশগুলোর ব্যবসা–বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। এভাবে আফগানদের বিপদে ফেলে মার্কিন বাহিনীর শটকে পড়ারও সমালোচনা করেছেন ইমরান খান।
এদিকে বিদেশী সেনাদের চলে যাওয়ার খবরে তালেবান আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা ইতোমধ্যে ৪২১ জেলার মধ্যে ১৪০টির বেশি দখল করে নিয়েছে।
রোববার আফগানিস্তানের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল অপারেশন বিভাগের কমান্ডার মেজর জেনারেল হিবাতুল্লাহআলিজাই জানান, তাদের এখন মূল লক্ষ্য তালেবানকে ‘চেপে ধরা’। তিনি জানান, আফগানিস্তানের বড় বড় শহর, মহাসড়ক ওসীমান্ত শহর এলাকার দখল ঠেকাতে তারা শক্তিশালী বলয় তৈরি করেছেন।
অন্য দিকে তালেবানের ভয়ে আফগান বাহিনীর হাজারের অধিক সদস্য প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে।
তাজিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হলে আফগানিস্তানের বদখশান প্রদেশের সেনা সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে তাজিকিস্তানে প্রবেশ করেছে। মানবতা ও সুপ্রতিবেশীর নীতির আলোকে তাদের প্রবেশের সুযোগ দেয়াহয়েছে।
এদিকে আগ্রাসনের ২০ বছরের মাথায় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে আগ্রাসন শুরু হলেও সহিংসতা বেড়েই চলছে দেশটিতে। গ্রামের পর গ্রাম দখলে নিচ্ছে তালেবান– এমন খবর প্রতিদিনই আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তালেবান খুব দ্রুত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নিতে পারে এমন খবরো শোনা যাচ্ছে।