দেশ এখন চোর-ডাকাত-লুটেরার কবলে: আলাল
দেশ এখন চোর–ডাকাত–লুটেরাদের কবলে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেছেন, ‘চোর, ডাকাত ও লুটেরাদের কবলে পড়েছে দেশ। চোর বা ডাকাত আপনার মানিব্যাগ বা ব্যাংক থেকে টাকা তুলেব্যাগে করে নিয়ে গেলে সেই টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেলে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আপনি প্রতিবাদ করতে পারছেন এবং বলতেপারছেন। কিন্তু যারা ভোট ডাকাতি করে, ব্যাংকের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে তাদের কিছু না বলে সরকার চুপ করে তাদেখেন। তাদের আমরাও কিছু বলতে পারছি না। পুলিশও কিছু করতে পারছে না।’
বুধবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষেএক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘একই পুলিশ চোর ছিনতাইকারীদের তাড়া করলেও রাষ্ট্রীয় লুটেরা ডাকাতদের কিছুইকরে না।’
সাধারণ দস্যু ও রাজনৈতিক দস্যু সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘সাধারণ দস্যু ও রাজনৈতিক দস্যুরমধ্যে পার্থক্য কোথায়? সাধারণ দস্যুরা হচ্ছে তারা পছন্দ করে না কোন জিনিস নেবে, কিন্তু আপনারা পছন্দ করেন সেটা তারানিয়ে যায়। আর রাজনৈতিক দস্যুরা হচ্ছে, আপনার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাকশালী পন্থায় দেশ শাসন করে।’
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু আয় সমান ছিল। তাতে প্রবৃদ্ধি যা ছিল আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতা–ই ছিল। আজ তারা কোথায় গেছে আর আমরা কোথায় রয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীন হয়েছি। একই সময় ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাহারাইন ও ডিসেম্বর মাসে কাতার স্বাধীন হয়েছে। বাহরাইনের মাথাপিছু আয় ৫৭ হাজার সম্ভাব্য আর কাতারের মাথাপিছু আয় এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজারটাকা। আর আমাদের মাথাপিছু আয় কত? অথচ বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় নিয়ে বড় বড় কথা বলে সরকার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভোলানোর চেষ্টা করে।’
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি সকল কাজের ঊর্ধ্বে জনগণকে সামনে রাখতেন, জনগণের ভালো হয় সবসময় সেই কাজ করতেন।’
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করে দিনরাত পার করে দিতে পারবো।কিন্তু তাঁর জীবনের ভালো দিকগুলো ধারণ করতে না পারলে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না। তার জীবনের ভালো দিক গুলো ধারণ করে চললেই জিয়াউর রহমানের আত্মা শান্তি পাবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস আজাদ ও জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান প্রমুখ।