জেলেদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়তি সাহায্যের দাবি মৎস্যজীবী দলের
জেলেদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার সাহায্যের পরিমাণ না বাড়ালে তাদের সংঘটিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়েতোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল।
সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে দ্বিতীয় বার করোনা সংক্রমণ ব্যাপকতা ধারণ করায় সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এমতাবস্থায় শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার বাংলাদেশের জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। এসময় জেলেরা অন্যান্য পেশায় জড়িত হতেন। লকডাউনের কারণে তারা সেই সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। জেলেদেরকে যে পরিমাণ সাহায্য দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায়একেবারেই অপ্রতুল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার প্রতি কার্ডধারী জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও অধিকাংশ জায়গায় ৪০কেজি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ কেজি করে দিচ্ছে। জেলেরা অনাহারে–অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বর্তমান এই দুর্বিষহ অবস্থায় কার্ডধারী জেলেদেরকে আরও অধিক পরিমাণ সাহায্য দেয়ার প্রয়োজন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক– বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব– আব্দুর রহিম মৎস্য খাতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়ে সারাদেশের জেলেদেরকে অধিক পরিমাণ সাহায্য দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, সরকার সাহায্যের পরিমাণ না বাড়ালে তাদেরকে সংঘটিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়েতুলতে বাধ্য হবেন।
তারা দাবি করেন, এই ৬৫ দিনে প্রতি কার্ডধারীকে অন্তত দুবার নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৮০ কেজি করে চাল প্রদান করার।