সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়াতে পে কমিশন গঠনে চিঠি
সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২১ নভেম্বর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ আবেদন জানায় বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ইতোমধ্যে করণীয় ঠিক করতে এ বিষয়ে বিশ্লেষণও শুরু করেছে অর্থ বিভাগ।
এর আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান ও ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ-সংক্রান্ত একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠনের জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৭ সালের ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। সে উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি জানায়, জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ জারি হওয়ার পর প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চলছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কল্যাণ ফান্ড, যৌথবীমা, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য বিল কয়েকগুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেসরকারি বাসাভাড়া, পরিবহন, চিকিৎসা খরচ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক গুণ বেড়েছে। এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে নতুন চিঠিতে।