সরকারের উচিত দ্রুত পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা: খন্দকার মাহবুব হোসেন

0

সরকারের উচিত কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাদণ্ডাদেশের কপি সংগ্রহ করে দ্রুত তার সদস্যপদ বাতিল করা। তবে চাইলে দেশের সচেতন যেকোনো নাগরিক রায়ের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করে স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যের নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন এবং ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার নৈতিক স্খলন হয়েছে, তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সরকারর উচিত দ্রুত রায়ের কপি সংগ্রহ করা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কুয়েতের আদালত। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাপুল। অর্থপাচারে তার প্রধান সহযোগী দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মাজেন আল-জাররাহকেও একই দণ্ড দেয়া হয়েছে।
কেবল কারাদণ্ডই নয়, তাদের প্রত্যেককে ১৯ লাখ দিনার জরিমানা করা হয়েছে। তবে কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি এবং সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদকে এ মামলার অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। পাচারের শিকার ৫ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন পরে তদন্ত করে পাপুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানবপাচার, ঘুষ লেনদেন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাপুলের মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর ২৮শে সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com