তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে: কাতার
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লোলওয়াহ আল-খাতের বলেছেন, তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান স্থিতিশীলতায় সন্তুষ্ট। কাতার ইরানের সঙ্গে বিদ্যমান ‘চমৎকার সম্পর্ক’ অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার দেশের সঙ্গে চার আরব দেশ যে সংকট তৈরি করেছিল তার ফলে কোনো দেশের লাভ হয়নি বরং প্রত্যেক দেশের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে কাতার চুক্তি সই করার পর পশ্চিমা ও আরব গণমাধ্যম খবর দিয়েছিল, এবার তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের অবনতি হবে। কিন্তু বাস্তবে ওই দুই দেশই সবার আগে এ চুক্তি সই করাকে স্বাগত জানিয়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন কঠোর অবরোধের দিনগুলোতে যেসব দেশ কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেসব দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আল-খাতের।
সৌদি আরব ও তার তিন মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর ২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে। সৌদি আরব যেসব দাবিতে এই জোট পাকায় তার মধ্যে ছিল- তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে, আল-জাযিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দিতে হবে এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমাতে হবে।
কিন্তু কাতার এসব দাবি মেনে না নিয়ে উল্টো তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর তীব্র অবরোধের দিনগুলোতে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও ইরান। আঙ্কারা ও তেহরানের সহযোগিতায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দিয়েছে দোহা।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ওই চার আরব দেশ কাতারের সঙ্গে সেই শত্রুতার পরিবেশের অবসান ঘটিয়েছে। কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।