যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যে অভিযোগে সরগরম বিশ্ব

0

পুতিন বিরোধী রাশিয়ারি কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে তার সমর্থকরা। এসময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও বাধে। 

এই অবস্থায় বিক্ষোভকে সামনে রেখে রাশিয়ায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। কিন্তু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া। এর পরই রাশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। 

দূতাবাস থেকে মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়ার চলমান বিক্ষোভ এড়িয়ে চলার জন্য সতর্কতা জারির পর রবিবার এ অভিযোগ করে দেশটির সরকার। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের তলব করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলবেন।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই ধরনের প্রকাশনা যথাযথ নয়। অবশ্যই এটি পরোক্ষভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। যদি যুক্তরাষ্ট্রের রুশ দূতাবাস একই ধরনের সতর্কতা জারি করতো তাহলে ওয়াশিংটনও নিশ্চিতভাবে অস্বস্তি বোধ করতো।’

রবিবার মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বজুড়েই মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো নিয়মিতভাবে তাদের নাগরিকদের সতর্ক বার্তা দিয়ে থাকে।

এদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। রাশিয়ার শতাধিক শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে মস্কোর পাশকিন স্কয়ারে। সেখানে ৪০ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চোর আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয়। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, বিক্ষোভকারীর সংখ্যা মাত্র চার হাজার।

এসময় বিক্ষোভকারীরা নাভালনির মুক্তি এবং পুতিনের পদত্যাগের দাবি করে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্রমে কারাগারে পরিণত হচ্ছে। এজন্য তিনি প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com