বাইডেনকে দেয়া চিঠিতে কী লিখেছেন ট্রাম্প?
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। এদিন সকালেই হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন না, জানিয়েছিলেন আগেই। তবে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে তিনি নিজের উত্তরসূরি বাইডেনের জন্য একটি চিঠি রেখে গেছেন।
হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বাইডেনের জন্য চিঠি রেখে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানায় বিবিসি। তবে চিঠিতে কী আছে এখনই তা জানার কোনও উপায় নেই।
প্রথা অনুযায়ী ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য একটি চিঠি রেখে গেছেন ওভাল অফিসে। বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, চিঠিটি খোলার সময় তিনিও প্রেসিডেন্টের সাথে তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের চিঠি নিয়ে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছেন, যেহেতু এটা গোপন চিঠি। আমি তার সঙ্গে কথা না বলে এই বিষয়ে কিছু বলব না। তবে এটি খুব উদার চিঠি।
তবে চিঠির বিষয়বস্তু জো বাইডেন এককভাবে প্রকাশ করবেন না জানিয়ে জেন সাকি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এখনই কথা বলার কোনো পরিকল্পনাও প্রেসিডেন্টের নেই।
বুধবার জো বাইডেন শপথ নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হোয়াইট হাউজে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জেন সাকি এ তথ্য জানান। প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার দিনের অন্যতম ঐতিহ্য হলো বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের শুভেচ্ছা ও পরামর্শ প্রদান করে একটি চিঠি লিখে যান। নতুন প্রেসিডেন্টের পড়ার জন্য চিঠিটি সাধারণত রেজোলিউট ডেস্কে রেখে যায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। নতুন প্রেসিডেন্ট যখন প্রথম ওভাল অফিসে প্রবেশ করেন তখন তিনি রেজোলিউট ডেস্ক থেকে এ চিঠি পড়েন। কিন্তু ট্রাম্পের ওই কী লেখা আছে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তা অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প। বরং নিজেকে জয়ী ঘোষণা করে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন। নিজের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্তও হয়েছেন তিনি, কিন্তু নিজের দাবির পক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছেন। আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকবেন না।
নিজের বিদায় অনুষ্ঠান হোয়াইট হাউজ বা ওয়াশিংটন ডিসিতে নয় বরং মেরিল্যান্ডের অ্যান্ড্রুস বিমান ঘাঁটিতে আয়োজন করেছেন। এমনকি বিদায় অনুষ্ঠানের ভাষণে একবারের জন্যও জো বাইডেনের নাম উচ্চারণ করেননি।