যুদ্ধের ধারণা পাল্টানোর সামর্থ্য আছে তুরস্কের

0

তুরস্কের সামরিক শক্তি ও প্রযুক্তির বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাতের ধারণাকে পাল্টে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে। শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতায় এ কথা বলেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মুস্তাফা শেনতপ।

দক্ষিণ ককেশাস ও কারাবাখ সংঘাত বিষয়ে আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামে তিনি বলেন, “তুরস্কের সামরিক শক্তি ও প্রযুক্তির এই সামর্থ্য কিছুটা সিরিয়া ও লিবিয়াতে প্রদর্শিত হয়েছে। আবার অতি সম্প্রতি ‘আরো স্পষ্টভাবে’ আজারবাইজানে দ্বিতীয় নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধে তা দেখানো হয়েছে।”

আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিক ও আজারবাইজানি সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে বিবিধ মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে ২৭ সেপ্টেম্বর এই যুদ্ধ শুরু হয়। ৪৪ দিনের এই যুদ্ধে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও তিন শ’র মতো বসতি ও গ্রাম মুক্ত করে নেয়। আজারবাইজানি ভূখণ্ডের অংশ এই শহর, গ্রাম ও বসতি তিন দশকের মতো আর্মেনিয়া জবরদখল করে রেখেছিল।

কারাবাখে আজারবাইজানের বিজয়ে বাকুর তুরস্ক থেকে কেনা বায়রাকতার টিবি২ অস্ত্রবাহী ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বক্তব্যে মুস্তাফা শেনতপ বলেন, ‘যদিও মস্কোর মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে নাগরনো-কারাবাখের সংঘাতের আপাতত নিষ্পত্তি হয়েছে, তারপরেও দক্ষিণ ককেশাস, তুরস্কের আশেপাশে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাত এখনো শেষ হয়নি।’

বক্তব্যে শেনতপ শীর্ষ তুর্কি কর্মকর্তাদের যুদ্ধের সময় আজারবাইজানে সফর এবং ভ্রাতৃপ্রতীম দেশটির প্রতি সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, নাগরনো-কারাবাখ সবসময়ই আজারবাইজানি ঐতিহাসিক ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।

মুস্তাফা শেনতপ বলেন, ‘ইতিহাসের যত পেছনেই আমরা যাই না কেন, নাগরনো-কারাবাখ সবসময়ই আজারবাইজানি শাসনের অধীনে ছিল। ১৯ শতকের শুরুতে ইরান-রাশিয়ার চুক্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলের সংবিধান অনুযায়ীও এই ভূখণ্ড আজারবাইজানের সাথে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত আমলে নাগরনো-কারাবাখের ওপর আজারবাইজানের ভূমির বাইরের কোনো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রবণতা, অনুশীলন বা আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল না। এই বিবেচনায় যখনই আমরা পেছনে ফিরে তাকাই, ঐতিহাসিকভাবেই নাগরনো-কারাবাখকে আজারবাইজানের সাথেই দেখি।’

তিনি মন্তব্য করেন, ‘জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের চারটি প্রস্তাবের আইনগত দৃষ্টিভঙ্গিও একই পরিস্থিতি ও নায্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, আজারবাইজানি এই ভূখণ্ডে আর্মেনিয়া আক্রমণকারী।’

শেনতপ বলেন, ‘ত্রিশ বছর ধরে আলোচনার টেবিলে এই অবস্থার নিষ্পত্তি হয়নি। সবশেষে আজারবাইজানের শক্তি প্রর্দশনেই তা সফল হয়েছে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com