স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছে বিএনপি

0

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে বিএনপি গঠিত বিভিন্ন কমিটি দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সুবর্ণজয়ন্তী পালনের লক্ষ্যে গত নভেম্বর মাসে ১৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় আহবায়ক কমিটি ও পরে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে বিএনপি।

এরপর গত ২২ ডিসেম্বর ১৫টি বিষয়ভিত্তিক এবং ১০টি বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি গঠনের পরই শুরু হয় তাদের বৈঠক। প্রথমে দুই দফা বৈঠক করে জাতীয় কমিটি। এরপর শুরু হয় অন্যান্য কমিটির বৈঠক।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রকাশনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

এদিকে কেন্দ্রীয় প্রচার উপ-কমিটির প্রথম বৈঠক শুক্রবার (৮জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কেন্দ্রীয় প্রচার উপ-কমিটির আহবায়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরব্যাপী অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে করতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে গত ১১ নভেম্বর ১৩৪ সদস্যের জাতীয় কমিটি করা হয়।

ওই কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের কর্মসূচি থাকবে বছরব্যাপী। শুধু ঢাকায় নয়, প্রত্যেক সিটি করপোরেশন, জেলা সদর এবং উপজেলা তৃণমূল পর্যন্ত এই উৎসব পালন করা হবে। বিভিন্ন দেশের রাজধানীতেও কর্মসূচি থাকবে। কর্মসূচিগুলো সমন্বয় করতেই ১০টি বিভাগীয় ও ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি আলাদা আলাদা বৈঠক করে তাদের কর্মপন্থা ঠিক করবে।

প্রকাশনা কমিটির বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে বিভাগীয় ভার্চ্যুয়াল বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মাহবুবের রহমান শামীম।

গত ২৭ ডিসেম্বর আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে বরিশাল বিভাগীয় কমিটির বৈঠক হয় গুলশানে। ২৮ ডিসেম্বর সেমিনার সিম্পোজিয়াম কমিটির বৈঠক হয় আহ্বায়ক ড. আব্দুল মঈন খানের সভাপতিত্বে। ২৯ ডিসেম্বর মিডিয়া কমিটির বৈঠক হয়। ভার্চ্যুয়াল ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ২ জানুয়ারি ফরিদপুর বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক হয় গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। ৩ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা কমিটির বৈঠক হয়। সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।

গত ৪ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

এছাড়া আগামী ৯ জানুয়ারি কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির বৈঠক হবে গুলশান কার্যালয়ে বেলা ১১ টায়। সভাপতিত্ব করবেন  কমিটির আহ্বায়ক মনিরুল হক চৌধুরী। একই দিন বিকাল ৩টা খুলনা বিভাগীয় কমিটির বৈঠক হবে যশোরে।  সভাপতিত্ব করবেন আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।

১০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বৈঠকে বসবেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা। সভাপতিত্ব করবেন আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। একই দিন বিকাল ৪টায় গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিটির বৈঠক হবে। সভাপতিত্ব করবেন আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার।

আগামী ১২ জানুয়ারি গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বেলা ১১টায় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিবদের সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভা হবে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরিচালনা করবেন সদস্য সচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।

জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বছরব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেই এসব বৈঠক করছেন নেতৃবৃন্দ। আগামী ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসব শুরু হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com