যেভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন ৪৯ বছর বয়সী ইলন মাস্ক

0

টেসলা ও স্পেসএক্সের উদ্যোক্তা ৪৯ বছর বয়সী ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের মূল্য ৪.৮ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সে এ বছরের শীর্ষ ৫০০ সম্পদশালীর তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেন মাস্ক।

এর আগে শীর্ষ ধনী ছিলেন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোস।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রকৌশলী ইলন মাস্কের বর্তমান সম্পদ ১৮৮.৫ বিলিয়ন (১৮ হাজার ৮৫০ কোটি) মার্কন ডলার, যা ২০১৭ সাল থেকে শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে থাকা জেফ বেজোসের তুলনায় দেড় বিলিয়ন (দেড় শ’ কোটি) মার্কিন ডলার বেশি।

স্পেস অ্যাক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশন বা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক বেসরকারি মহাকাশ পরিবহন খাতে ব্লু অরিজিন এলএলসির মালিক বেজোসের প্রতিদ্বন্দ্বীও বটে।

এই মাইলফলক মাস্কের অসাধারণ ১২ মাসের অর্জন। গত এক বছর ধরে তার সম্পদ দেড় শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। এটি সম্ভবত ইতিহাসের দ্রুততম সম্পদ মজুদ। তার এ অর্জনের পেছনে ছিল টেসলার শেয়ার মূল্যের অভূতপূর্ব উত্থান, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে অন্তর্ভুক্তি এবং ওয়াল স্ট্রিট ও খুচরা বিনিয়োগকারীদের উদ্যম। ধারাবাহিক মুনাফার ফলে টেসলার শেয়ার গত বছর ৭৪৩% বৃদ্ধি পেয়েছিল।

বিভিন্ন সূচকে অন্যান্য অটোনির্মাতাদের বাইরে টেসলার স্টক মূল্যের উত্থান এই মূল্যায়নকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। টেসলা গত বছর মাত্র অর্ধ-মিলিয়ন গাড়ি উৎপাদন করেছিল, যা ফোর্ড মোটর কোম্পানি ও জেনারেল মোটর কোম্পানির উৎপাদনের একাংশ।

ডেমোক্র্যাটরা জর্জিয়ার সিনেটের উভয় আসন লাভ করে কংগ্রেসে সংখ্যাধিক্য হওয়ায় কোম্পানিটি এখন আরো বেশি স্বল্প-মেয়াদী লাভ করবে। ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত সময়ে বৈদ্যুদিক গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর পক্ষে কাজ করছে।

ইলন মাস্ক ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেটোরিয়াতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মাস্ক আর তার বড় ভাই বাবার সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও সম্পর্কে বৈরিতা তৈরি হওয়ায় মায়ের সাথেই থাকতেন তারা তিন ভাইবোন। হাইস্কুল শেষে মা আর ভাইবোন নিয়ে কানাডায় চলে যান মাস্ক। সেখানে ওন্টারিও’র কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও দু’বছর পর চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পদার্থ আর অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন।

স্নাতকোত্তর শেষে পিএইচডি’র জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার ধরে রাখতে গিয়ে তা আর শেষ করতে পারেননি।

ব্যক্তিজীবন খুব একটা সুখকর ছিল না ইলন মাস্কের। ২০০০ সালে বিয়ে করেন কানাডিয়ান লেখিকা জাস্টিনকে। বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। সেই ঘরে তার ছেলে-মেয়ে আছে। এরপর ২০১০ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী তালুলাহ রিলেয়কে। বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১২ সালে। আবার তাকেই বিয়ে করেন ২০১৩ সালে, আবারো বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রিমসের সাথে। তাদের ঘরে একটি ছেলে আছে।

সূত্র : এনডিটিভি, বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com