গেমিং জগতের কিংবদন্তি ইএ স্পোর্টস

0

কম্পিউটারে গেমস খেলেছেন অথচ ইএ স্পোর্টসের নাম শোনেননি, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। হাতে স্মার্টফোন বা টেবিল কম্পিউটার থাকা মানেই ইএ স্পোর্টস আপনার চেনা। গেমিং জগতের এই কিংবদন্তিতুল্য কোম্পানি নিয়ে লিখেছেন জুবায়ের আহাম্মেদ

গল্পের শুরু

চোখ বন্ধ করে কম্পিউটারের কিছু জনপ্রিয় গেমসের কথা চিন্তা করতে বললে সবার আগে হয়তো বলবেন ফিফা, সিমসিটি, ক্রিকেট কিংবা নিড ফর স্পিডের কথা। সবগুলো গেমসেই প্রথম যে জিনিসটি আপনার চোখে পড়বে তা হলো ইংরেজিতে ইএ স্পোর্টস লেখা একটা লোগো। সারা বিশ্বের যে কয়েকটি গেমিং কোম্পানি মানুষকে গেমের নেশায় একেবারেই বুঁদ করে রেখেছে, তার মধ্যে ইএ স্পোর্টস অন্যতম। অথচ এই কোম্পানির শুরুতে গেমিং নিয়ে কোনো ধরনের ভাবনাই ছিল না। নিছকই একটি সফটওয়্যার কোম্পানি করার ইচ্ছে ছিল প্রতিষ্ঠাতার। ছিলেন অ্যাপলের সাবেক কর্মচারী। তবে নিজ থেকেই কিছু করার চিন্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন অ্যাপলের মার্কেটিং ডিরেক্টর উইলিয়াম হকিন্স। মাত্র ২৬ বছর বয়সে অ্যাপলের মতো নামি কোম্পানিকে ছেড়ে আসার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটা প্রমাণ করতে বেশখানেক সময় লেগেছিল তার। ১৯৮২ সালে অ্যামাজিং সফটওয়্যার নামে কোম্পানি শুরু করেছিলেন। এক বছর পর সেটারই নাম বদলে হয় ইলেকট্রনিক আর্টস বা ইএ। তবে উইলিয়াম হকিন্সই একমাত্র ছিলেন না, সঙ্গে ছিলেন বন্ধু এবং অ্যাপল সহকর্মী উইলিয়াম বিংহ্যাম গর্ডন। দুজনেই পড়েছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। মার্কেটিংয়ের দুই ছাত্র মিলে অল্পদিনেই লাভের দেখা পেতে শুরু করেন। শুরুতে ইলেকট্রনিক আর্টস শুধু সফটওয়্যার তৈরি, হার্ডওয়্যার উৎপাদন, গেমিং কনসোল বিপণনের মতো সাধারণ সব কাজে যুক্ত ছিল। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত ইএ বার্ষিক ৬০ শতাংশ হারে লাভ করতে থাকে।

প্রথম সাফল্য

মাত্র ১২ জন কর্মচারী আর পাঁচ মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করে ইলেকট্রনিক আর্টস। শুরুর দিকে আশির দশকের জনপ্রিয় সব কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যার আর হার্ডওয়্যার নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন দুই বন্ধু।

১৯৮৩ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো আটারি ৮০০-এর জন্য গেম তৈরি করে ইএ। সফটওয়্যারনির্ভর এই গেমটি আটারি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। তবে দ্রুতই নিজেদের গেমিং কনসোলকে কমোডোর সিস্টেমে নিয়ে যায় আটারি। ইএ বুঝতে পারে, সাফল্যের জন্য নিজেদের গেমিংকেও উন্নত করা দরকার তাদের। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই পরে আরও ছয়টি গেম নিয়ে আসে ইএ। সময়টা তখন শুধু ১৯৮৩ সালের অক্টোবর মাস। অল্প সময়ের মধ্যে বের করা সবগুলো গেমেই চমৎকার সাফল্যের পর নিজেদের ছাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে কোম্পানিটি। তাদের পরের লক্ষ্য সরাসরি কম্পিউটার। ১৯৮৪ সালে নিজেদের সাবেক কোম্পানি অ্যাপলের জন্যই গেমস তৈরি করা হয়। স্কাইফক্স নামের সেই গেমটি অ্যাপল গ্রাহকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। সেই সঙ্গে পেয়ে যায় বেস্ট সেলার গেমের তকমাও। দুই বছর পরেই নতুন কমোডোর অ্যামিগা কম্পিউটারের জন্য গেম বানাতে শুরু করে। আশির দশকের শেষপর্যায়ে এসে নতুন এই কম্পিউটারটি সারা আমেরিকাতেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ইএ কোম্পানির গেমের গ্রহণযোগ্যতা। ১৯৯০ সাল নাগাদ নিজেদের প্রতিটি পণ্যের বিপরীতে ৫০ শতাংশ করে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে ইলেকট্রনিক আর্টস। ১৯৯৩ সালে তারা বাজারে আনে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম গেম ফিফা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমেরিকান এই কোম্পানিকে।

কর্মপদ্ধতি

আশির দশকে কম্পিউটারের জন্য গেমিংয়ের ধারণা খুব বেশি কার্যকর ছিল না। বিশেষ করে গ্রাফিকসের ব্যবহার ছিল খুবই সীমিত। সর্বপ্রথম ইএ গেমিংয়ের জন্য আলাদাভাবে গ্রাফিকস তৈরির কাজ শুরু করে। শুধু গেমিংয়ের আবহ উন্নত করতে আলাদাভাবে গ্রাফিকস ডিজাইনার নিয়োগ দেয় তারা। সেই সঙ্গে নিয়োগ পায় সে সময়ের বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সার। যাদের মূল কাজ ছিল কোম্পানিকে গেমিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। এসব ফ্রিল্যান্সারের দেওয়া আইডিয়া পরে চলে যেত হলিউডের নামি সব স্টুডিওর কাছে। সেই স্টুডিও থেকে অনুমতি পেলেই গেমের কাজের ভার চলে যেত গ্রাফিকস ডিজাইন আর্টিস্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজারদের কাছে। সমসাময়িক আর সব কোম্পানি এই কাজে প্রোগ্রামার ব্যবহার করলেও সেই পথে পা রাখেনি ইএ স্পোর্টস। ইএ কোম্পানির গ্রাফিকস ডিজাইনের সেই দলের কাজ ছিল তিন ধরনের। সফটওয়্যার ডিজাইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হতো গেমের সব কার্যপ্রণালি। এরপরেই ছিল মডেল ডেভেলপমেন্ট। এর দ্বারা গেমারকে রিয়েল টাইম অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ দেওয়ার প্রয়াস ছিল। এরপর ছিল প্রোডাকশন বা গেম তৈরির সবশেষ ধাপ। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে ইএ কোম্পানির চাহিদা। আসতে থাকে নতুন আইডিয়া আর গ্রাফিকসের কারিকুরি।

১৯৮৪ সাল থেকে লাইসেন্সের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে কোম্পানিটি। সেই সঙ্গে কিনে নেয় বেশ নামি কিছু খেলোয়াড়ের মার্কেটিং স্বত্ব। সেই তালিকায় যুক্ত হয় রাগবি তারকা জন ম্যাডেন, বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান এবং সর্বকালের সেরা দাবাড়–গ্যারি ক্যাসপারভ। তারকাদের নাম যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর সাফল্য আসতে থাকে তাদের কাছে। ফ্লাইট সিমুলেশন গেমে যুক্ত হন নাসার চাক ইয়েগার। ইএ কোম্পানির সাফল্যের আরেকটি বড় দিক ছিল তাদের বিক্রয় প্রতিনিধি। সাধারণত অন্য সব কোম্পানি গেম বিক্রির জন্য থার্ড পার্টি বা অন্য কোনো পক্ষের সহায়তা নেয়। কিন্তু ইএ তাদের কোম্পানির সব গেম নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই বিক্রি করা শুরু করে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিক্রয়ে না গিয়ে ইএ সরাসরি গ্রাহকদের কাছাকাছি যাওয়া শুরু করে। গ্রাহকদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়াও মিলতে শুরু করে।

যে কারণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে

ইএ স্পোর্টসের কাজের পরিধি বেশ বড়ই বলা চলে। কোম্পানিটি বিগত কয়েক দশকে উপহার দিয়েছে অসাধারণ সব গেম। বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন বয়সের উপযোগী দারুণ সব গেম এখন পর্যন্ত চাহিদার শীর্ষে রেখেছে এই কোম্পানিকে। ইএ কোম্পানির জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ তাদের গেম বিল্ডআপ। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু খেলার অফিশিয়াল লাইসেন্স নিজেদের করে নিয়েছে ইএ। এর মধ্যে আছে ফিফার অনুমোদিত ফুটবল, আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউএফসি), এনবিএ বাস্কেটবল, ন্যাশনাল ফুটবল লিগ এনএফএল, যা রাগবি নামেই বেশি পরিচিত। এর বাইরেও অ্যাকশনধর্মী গেমের মধ্যে মেডেল অব অনার, কমান্ড অ্যান্ড কনকোয়ার, আলটিমা অনলাইনের মতো গেম তাদের বাণিজ্যিকভাবে বেশ সফল এক কোম্পানি করে তোলে।

ইএ কোম্পানির গেমিংয়ের সাফল্যের আরেকটি বড় দিক ছিল তাদের গ্রাফিকস। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্দান্ত সব গ্রাফিকস গেমারদের উপহার দিয়েছে তারা। প্রতি বছরই ফিফা গেমের মুক্তি উপলক্ষে রীতিমতো ধুম লেগে যায় গেমারদের মধ্যে। আর এই আগ্রহের মূল কারণ তাদের গ্রাফিকস। এ ছাড়া রেসিং গেমসে রিয়েল টাইম অ্যাডভেঞ্চার, অ্যাকশন গেমসের শব্দ এবং আবহ সৃষ্টিতে ইএ কোম্পানির জুড়ি মেলা ভার।

ইএ ও ফিফা

সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এমনকি জাতিসংঘের চেয়েও ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সদস্য সংখ্যা বেশি। ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম অফিশিয়ালভাবে ফিফা ফুটবলের গেম নির্মাণ শুরু করে ইএ কোম্পানি। প্রথমে শুধু জাতীয় দলগুলো নিয়েই কাজ শুরু করা হয়। তবে সেই গেমটি খুবই সীমিত আকারে গেমারদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য ফিফা বাজারে আনে ইএ কোম্পানি। ১৯৯৬ সালে থ্রি ডি অ্যানিমেশনের যুগে প্রবেশ করে ফিফা গেমসটি। ৯৬ সালের থ্রি ডি আসার পর থেকে তরতর করে বাড়তে থাকে ফিফা গেমসের গ্রহণযোগ্যতা। বছর বছর উন্নত হতে থাকে তাদের গ্রাফিকসের কাজ। সেই সঙ্গে গেম প্লেও হতে থাকে আরও বেশি আকর্ষণীয়। ফিফার লাইসেন্স থাকার কারণে সাফল্যের ব্যাপারে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে ফিফা।

২০০৮ সালের সংস্করণে বড়সড় পরিবর্তন নিয়ে আসে ইএ। যুক্ত হয় ক্যারিয়ার মোড এবং ম্যানেজার মোড। বাড়তে থাকে কন্ট্রোল অপশন। শুরুর দিকে ফিফা বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো টুর্নামেন্ট যুক্ত থাকলেও পরে তাতে আরও কিছু রদবদল হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কমেনি গেমসের আবেদন। পরে অবশ্য বেশ কিছু ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে এই কোম্পানি। ক্লাব ফুটবলের বেশ কিছু দলের লাইসেন্স নিয়ে নেয় জাপানি কোম্পানি কোনামি। যার মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ক্লাব জুভেন্টাসের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। বিগত দুই থেকে তিন বছরে তাই গ্রাহকদের কাছেও কিছুটা আবেদন হারিয়েছে ইএ কোম্পানির গেমটি। তবে এখনো প্রতি বছর ইএ কোম্পানির ফিফা গেমসের রেটিং, কাভার ও গ্রাফিকস নিয়ে প্রতি বছর উন্মাদনায় মেতে উঠে হাজারো ফুটবল ভক্ত।

মুনাফার অঙ্ক

ব্যাপক জনপ্রিয় এই কোম্পানির আয় ঠিক কেমন এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ অনেকটা পেছনে যেতে হবে। বলে রাখা ভালো, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রীত কম্পিউটার গেম সিমসটিও তৈরি করেছিল এই কোম্পানি। ১৯৮৬ সালে ৩০ মিলিয়ন বিনিয়োগে মাত্র দেড় মিলিয়ন লাভ দেখেছিল কোম্পানিটি। তবে অ্যাপলের সঙ্গে চুক্তির সুবাদে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইএ। ১৯৮৯ সালে সব মিলিয়ে প্রায় ৮৪ মিলিয়ন ডলার লাভ করে তারা। সেই বছরে তাদের বিক্রি ছিল ৬৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর গড় আয় পৌঁছায় চার মিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরেও ছিল শুধু ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। ১৯৮৯ সালে মার্কিন বাজারে প্রথম ১৬ বিটের ভিডিও গেম উন্মুক্ত করার পরই মূলত বড় আকারে লাভের মুখ দেখতে থাকে ইএ। সে বছরেই দুই মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে আড়াই লাখ ডলার আয় করে ইলেকট্রনিক আর্টস। পার্সোনাল কম্পিউটারের বাইরেও সেগা গেমিং কন্সোলের জন্য গেম তৈরিও শুরু হয় এ সময় থেকেই। বর্তমান সময়ে ইএ গেমিং কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানির একটি। সবশেষ ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিগত বছরে ইএ কোম্পানির আয় ছিল ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম চার মাসেই তাদের আয় ছিল ৪১৮ মিলিয়ন ডলার। মহামারীর সময় তাদের গেমের চাহিদাও ব্যাপক আকারে বাড়তে শুরু করে। যার ফল হিসেবে বছর শেষে মোট বিনিয়োগের তুলনায় ৮০ শতাংশ লাভ করে এই কোম্পানিটি।

সিমসটি হোক বা ফিফা, নিড ফর স্পিডের গতি কিংবা মেডেল অব অনারের যোদ্ধা, যেকোনো বয়সী মানুষের যেকোনো ধরনের গেমের স্বাদ নিতে চাইলে ইএ স্পোর্টসের তুলনা করা হয়তো অসম্ভব। মহামারীর সময়ে তাদের প্রচেষ্টা যেমন মানুষের বিনোদনের উৎস ছিল, ঠিক তেমনই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর বড় একটি অংশকেও নিজেদের মতো করেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছে তারা। ইএ কোম্পানির যাত্রা অবশ্য এখানেই থামছে না। নতুন নতুন সব ফিচার আর গেমের জন্য এখনো পরিশ্রম করে যাচ্ছে তারা। আসছে পুরনো সব গেমসেরও নিত্যনতুন ভার্সন। বাংলাদেশের একটি পুরো প্রজন্মের কৈশোরকালের সঙ্গেও মিশে আছে এই মার্কিন কোম্পানির নাম। যুগের আবর্তনে অনেক প্রজন্মই হয়তো হারিয়ে যাবে, কিন্তু টিকে থাকবে কম্পিউটার গেমের কিংবদন্তি এই নাম ১৯৮২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যারা রাজত্ব করছে হাজারো গেমারের মধ্যে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com