সৌদি-তুরস্ক সম্পর্কের উত্থান-পতন

0

কথিত আরব বসন্তের পর থেকে সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে টানাপড়েন চলছে, তবুও এর মাঝেও দু’দেশের মধ্যে দূরত্ব কমানোর নানা উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। একজন সৌদি নারী মানবাধিকারকর্মীকে গ্রেফতার নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত কঠোর এবং রূঢ় কথা বলেছিল কানাডা। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কানাডার অযাচিত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তুরস্ক। সৌদি আরব এটিকে সে দেশের ‘একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ কানাডার নাক গলানোর কথা উল্লেখ করে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং সে দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে। সে সময় অনেকে সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে পুনরায় সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে। এই হত্যাকাণ্ড দেশ দুটিকে আবারো দুই প্রান্তে নিয়ে যায়। ক্রাউন প্রিন্স সালমান খাশোগির পরিবারকে রাজপ্রাসাদে ডেকে নিয়ে এসে সমবেদনা জানান এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে খবরে প্রকাশ, খাশোগির বাগদত্তা এ হত্যাকাণ্ডকে মেনে নিতে পারেননি। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আরব বসন্তের আগে সৌদি আরব ও তুরস্ক সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। তখন দুই দেশ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে একযোগে কাজ করত। মনে রাখতে হবে, তুরস্কের এরদোগান হচ্ছেন বাস্তববাদী নেতা। সম্প্রতি সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের কিছুটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ভূমিকম্পে তুরস্কের কয়েকটি শহর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে গত নভেম্বরের শুরুতে ত্রাণ পাঠিয়েছিল সৌদি আরব। ওই মাসের শেষদিকে সৌদি বাদশাহ সুলতান বিন আবদুুল আজিজের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। উত্তেজনা প্রশমনের উপায় ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনার দাবি করে দু’পক্ষ। এর পর আসে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির ২০টি দেশের এ জোটের সম্মেলনের আয়োজক ছিল সৌদি আরব।

সম্মেলনের প্রাক্কালে বাদশাহ সালমান ফোন করেন এরদোগানকে। সম্মেলনের বিষয় ছাড়াও পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তাদের আন্তরিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়। সালমান ও এরদোগানের আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের বিরোধ নিরসনের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। এই ঘটনার একদিন পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, আঙ্কারা ও বিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো ও আন্তরিক। আর এই ঘটনাগুলোকে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রার আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ, অবশেষে তুরস্কের সাথে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বস্তুত রাজতান্ত্রিক শাসন টিকিয়ে রাখার জন্যই সৌদিকে একরকম আপসের পথে যেতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বে সৌদি প্রভাব অনেক কমেছে। এর শুরুটা হয়েছিল মিসরের প্রথম নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার মাধ্যমে। সেখানে সৌদি রাজপরিবার স্বৈরাচারী সরকারের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল বলে অভিযোগ। সৌদি মন্দা ছাড়াও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নতুন নীতি দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সৌদি আরবকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করেছে। যা হোক্ মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সমালোচনা করে বলা হচ্ছে, সৌদি রাজপরিবার একের পর এক ভুলের পথে পা বাড়িয়েছে। সৌদি আরব ‘জোর করে’ অবরোধ চাপিয়ে দিয়েছে কাতারের ওপর। সৌদি আগ্রাসনে ইয়েমেন পরিণত হয়েছে চরম দারিদ্র্যপীড়িত দেশে। অবস্থান পাল্টে সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে রক্ষা করার চেষ্টাও করেছে সৌদি আরব। লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা হাফতারকে সহায়তা করে সৌদি সরকার। সর্বশেষ অভিযোগ হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিকে তুচ্ছ মনে করে ইসরাইলের সাথে ‘গোপন শলাপরামর্শ’ শুরু করেছে সৌদি সরকার।

কয়েক বছর ধরেই পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয়ার পরও কেন হঠাৎ সৌদি আরব ও তুরস্ক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী হচ্ছে তা নিয়ে সবাই কৌতূহলী। সৌদি বাদশাহ অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় নেতার টেলিফোন আলাপচারিতা কূটনৈতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করেছে।। এর একটি কারণ হতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যসহ সব মুসলিম দেশে তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধি। সৌদি আরব যেসব জায়গায় তুরস্কের সাথে বিরোধে লিপ্ত হয়েছে, কোনোটাতেই সফল হতে পারেনি। তুরস্ক কাতারকে কিভাবে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে তা সবাই দেখেছে। লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষরে বাধ্য করেছে তুরস্ক। এ ছাড়া তুরস্ক আজারবাইজানকে জিতিয়েছে নাগরনো-কারাবাখের যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এসব দেখে হয়তো সৌদি আরব অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তুরস্কের সাথে সুসম্পর্ক রাখাই মঙ্গলজনক। মুসলিম দেশগুলোর রাজনীতিতে তুরস্কের ভূমিকা সবিশেষ উল্লেখ করার মতো। কয়েকটি মুসলিম দেশে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি দেশটির কৌশলগত অবস্থান আরো শক্তিশালী করে তুলেছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এবং হয়তো পারবেও না। কারণ তুরস্কে ৩৫ লাখ উদ্বাস্তু রয়েছে। তুরস্ক হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আঙ্কারার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে ৩৫ লাখ উদ্বাস্তুকে ইউরোপের দিকে ঠেলে দেয়া হবে।

মূলত তুরস্কের কূটনীতিকদের কাছে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সৌদি আরব। সৌদি রাজপরিবারের জন্য সর্বশেষ আঘাত এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে। পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক খাশোগি হত্যার ‘বদলা নেয়া’র অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ইয়েমেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন।

মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সময়ও তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। বাগদাদ চুক্তি, স্নায়ুযুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে উভয়ে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিমত থাকলেও কখনো তা বৈরিতায় রূপ নেয়নি। বরং দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সব কিছু পাল্টে দেয় কথিত আরব বসন্ত। এ বসন্তটিও পশ্চিমাদের পরিকল্পনা মাফিক এসেছে। তিউনিসিয়ার এক নিরীহ গোবেচারা যুবকের গায়ে আগুন দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক সারা আরব বিশ্বে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে আসলে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। অবশ্য আরব বিশ্বের কোনো কোনো দেশে বছরের পর বছর একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র কায়েম ছিল। এ দিকে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে হয়তো বা রাজতন্ত্র আর টিকবে না। এটা ঠেকাতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে আমেরিকার তল্পিবাহকরা। অপর পক্ষে আঙ্কারার সাথে মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত উষ্ণ যে কারণে ২০১৪ সালে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে তুরস্কের মনোনয়নে প্রকাশ্য বিরোধিতা করে সৌদি আরব। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই দুই দেশ একই লক্ষ্যে মাঠে নামলেও কিছুদিন পর সৃষ্টি হয় বিভক্তি। ক্ষমতাসীন বাশার আল-আসাদকে হটানোর মিশনে তুরস্ক ও সৌদি আরব কাজ করতে থাকে এবং উভয় রাষ্ট্র সমর্থন দেয় বিরোধীদের। এরপর বিরোধীদের মধ্যে, তুরস্ক উদারপন্থীদের ও সৌদি আরব রক্ষণশীলদের সমর্থন দেয়। এ নিয়ে দূরত্ব সৃষ্টি হয় আঙ্কারা ও রিয়াদের। আর ২০১৭ সালে কাতার ইসুতে দুই রাষ্ট্রকে সরাসরি পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়। ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং আলজাজিরা চ্যানেল বন্ধ করাসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব ও তার কয়েকটি মিত্র দেশ। কিন্তু ছোট কাতারের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। তুরস্কের সহযোগিতায় অবরোধ সত্ত্বেও টিকে যায় কাতার। এরপর লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সৌদি আরব ও তুরস্ক।

এ কথাগুলো মাথায় রাখলে তুরস্কের সাথে সম্পর্ক উষ্ণ করতে আগ্রহের কারণ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রিয়াদের গুরুত্ব কমে গেলে তুরস্ক ও অন্য দেশগুলোর সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে দেশটি মনোযোগী হতে পারে। সৌদি-তুরস্ক বাণিজ্যিক সম্পর্কে আগে থেকেই ভালো। তবে মাঝখানে সৌদি অরব তুরস্কের পণ্য বয়কটের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অবশ্য সব কিছু ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা হলে লাভ হবে উভয় দেশেরই। এ দেশ দুটির সম্পর্ক আবারো উষ্ণ হলে সেটি নিঃসন্দেহে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন কোনো গতি সঞ্চার করতে পারে।

সবার জানা থাকা দরকার ব্রিটেনের এক ব্যক্তির গৃহপরিচারিকার অবৈধ যৌন সম্পর্কের ফসল ‘লরেন্স’। সে অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির এবং দক্ষ প্রতারক ছিল। তার কাজ ছিল, শুভাকাঙ্ক্ষীর বেশে মানুষকে ধোঁকা দেয়া। ‘লরেন্স’ ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তার মিশন ছিল ব্রিটিশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রতিনিধির ছদ্মবেশে ইরাক, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে সক্রিয় থেকে আরব ও তুর্কিদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে তুর্কি খেলাফতকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলা। ব্রিটিশ সরকারের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতির ওপর নির্ভর করে এ গুপ্তচর, তুর্কি শাসনের বিরুদ্ধে একদল আরবকে ক্ষেপিয়ে তুলতে সফল হন। লরেন্সের চেষ্টায় হিজাজের শাসক ও ব্রিটেনের অনুচর শরিফ হুসাইনের ছেলে আবদুল্লাহর জন্য গঠন করা হয় জর্দান নামক এক রাষ্ট্র। শরিফের আরেক ছেলে ফয়সলকে করা হলো সিরিয়ার রাজা। ফয়সল মাত্র চার মাস সিরিয়ায় টিকে ছিলেন। সেখান থেকে বিতাড়নের পর তাকে ইরাকের রাজার পদে বসানো হয় এবং তাকে দিয়ে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর দমন অভিযান চালানো হয় যাতে তারা এ দেশটি পরিচালনার দায়িত্বে না থাকতে পারে। ব্রিটেনের কূটকৌশলে তখন থেকে শিয়া-সুন্নি বিরোধ চলে আসছে। এর পর হিজাজের শাসক শরিফ হুসাইনকে হিজাজ থেকে বিতাড়িত করে আবদুল আজিজ আল সৌদকে হিজাজের শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং হিজাজের নতুন নামকরণ করা হয়। এখনো বর্তমান রয়েছে এই নামটি। এ জন্য নাকি আবদুল আজিজ আল সৌদকে শর্ত দেয়া হয়েছিল- ফিলিস্তিনে ইউরোপ থেকে ইহুদিদের নিয়ে এসে ‘ইসরাইল’ নামক একটি রাষ্ট্র গঠনে কোনো বাধা দিতে পারবে না।

লরেন্স নানা কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের কথা ‘সেভেন পিলার্স অব উইজডম’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যা কারো অস্বীকার করার উপায় নেই। লরেন্স অটোম্যান সাম্রাজ্যে আরব জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে ব্রিটেন অমেরিকার পরিকল্পনা অনুযায়ী তুর্কি সালতানাতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। আবার কামাল পাশা আধুনিকতার নামে অটোম্যান সাম্রাজ্যের জানাজা পড়িয়ে দেন। আধুনিকতার নামে তুরস্কের মসজিদগুলোর কোনোটি বন্ধ করে দেয়া হয়, কোনোটিকে ঘোড়ার আস্তাবল বানানো হয়। আজান আরবির পরিবর্তে তুর্কি ভাষায় দিতে বাধ্য করা হয়। দাড়ি-টুপি নিষিদ্ধ করা হলো। প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়। বলতে গেলে ইসলামী কালচার প্রায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com