খালাস চেয়ে ৯ আসামির আপিল

0

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত  নয় আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নয়জন আসামির পক্ষে আপিল দায়ের করা হয়। আপিলকারী আসামিরা হচ্ছেন, সিপাহি কামাল মোল্লা, আবদুল মোহিত, বজলুর রশীদ, মো. মনিরুজ্জামান, হাবিলদার ইউসুফ আলী, এ টি এম আনিসুজ্জামান, সুবেদার মো. শহিদুর রহমান, নায়েক সুবেদার ফজলুল করিম ও নায়েক আবু সাঈদ আলম।

এছাড়া হাইকোর্টের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ৪৮টি আপিলের কথা জানিয়ে পেপারবুকসহ অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিচারিক আদালতে ওই নয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল, যা হাইকোর্টেও বহাল থাকে। এই মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে তারা একটি আপিল করেছেন। আপিলে পেপারবুকে পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৫ হাজার ৬২৩। ভলিউম সংখ্যা ১৪০। ১৪টি সেট করে আপিল সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছ।

আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এসব আপিলে বিচারিক আদালতের রায়, হাইকোর্টের রায়, আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫। অন্যদের ক্ষেত্রে যেন এসব নথি না দিতে হয়, সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলে ১৩ই জানুয়ারির মধ্যে তাদের বিষয়ে আপিল করতে পারবো।

হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২২৮ জনকে। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ই জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢাকার পিলখানায় (বিজিবি সদর দপ্তর) নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও। দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

নৃশংস ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়, যা পরে নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। ২০১৩ সালের ৫ই নভেম্বর হত্যা মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে ৮৪৬ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ই নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। আর খালাস পান ২৭৮ জন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com