‘একই বুলেটে মুজিব-জিয়া হত্যা’, কাদেরের কাছে এ-কথার ব্যাখ্যা চাইলেন আলাল

0

যে বুলেটে বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছিলেন একই বুলেটে জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন- এই কথার অর্থ জানতে চেয়ে আওয়ামী লী‌গ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দে‌রের কা‌ছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে “দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও আমাদের জাতীয় স্বার্থ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে আমাদের মহাসচিবের (মির্জা ফখরুল) উদ্দেশ্যে ‘একটা কথা অনুধাবন করার জন্য’ বলেছিলেন। যে বুলেটে বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছিলেন একই বুলেটে জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন- এই কথার অর্থ কি, ওবায়দুল কাদের সাহেব একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন? যে একই জায়গার বুলেটে দুজন সরকারপ্রধান নিহত হয়ে‌ছেন সেই জায়গাটা কোথায়? এ প্রশ্নটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদেরের কাছে রেখে গেলাম।’

ভারতের সাথে এই সরকারের ‘পরকীয়া সম্পর্ক’ মন্তব্য করে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘এই সরকারের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। যার জন্য ভারত আদৌ দায়ী নয়। ভারত তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করছে। আর আমাদের সরকার তাদের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করছে। সুতরাং এই সরকার যদি চলে যায় তাহলে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।’

‘আওয়ামী লীগ বন্ধু না থাকলে এই দেশে আমাদের আর কোনও বন্ধু নাই’ ভারতীয় হাইকমিশনারের একথা উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘তার মানে কি আওয়ামী লীগই শুধু তাদের বন্ধু? তিনি কি ভুলে বলেছিলেন? আওয়ামী লীগের অফিস থেকে কিছু দেওয়া হয়েছিল কিনা? এটা হতে পারে। নাহলে একজন কূটনীতিকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা আসা ঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক থাকবে দু’দেশের জনগণের, সরকারের সম্পর্ক থাকে না। সরকার একটাই। রাষ্ট্র স্থায়ী ও চূড়ান্ত সত্তা। রাষ্ট্রর মাধ্যমে সমতার যে সম্পর্ক সে সম্পর্ক সবার সাথে চাই। না হলে নাই। যে কথা মরহুম জিয়াউর রহমান ও শেখ মুজিবুর রহমানও বলে গেছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত তাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী রেখেছে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কখনও কলঙ্কিত হতে দেয়নি। আর বাংলাদেশের দিকে যদি তাকান তাহলে দেখবেন, বর্তমান সরাকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে এবং এই দেশের কিছু দালাল মনে করে আমি যদি ভারতের পক্ষে কথা বলি তাহলে আমি প্রগতিশীল, আধুনিক, তাহলেই আমি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের দিকে গেলাম, আমি একজন মুক্তমনা মানুষ হলাম।’

সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক মো. সাকিব আলী, মেজর (অব.) সরওয়ার, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার ও ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com