হাফ প্যান্ট পরা, হাফ বুদ্ধিহীন ধর্মান্ধ: অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষের জবাবে মহুয়া
‘লাভ জিহাদ’ বিতর্কে অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ করেছে আরএএস ও বিজেপি। এর জবাব দিলেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে অমর্ত্যের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। সেই মন্তব্যেরই কড়া জবাব দিলেন মহুয়া।
টুইটে এ নেত্রী লেখেন, “কে কাকে বিয়ে করবে, কাকে ভালোবাসবে, তা নিয়ে কথা বলার অধিকার অসুস্থ, বিকৃতমনস্ক আরএসএস গুন্ডাদের কে দিয়েছে? এই সব নিয়ে আলোচনার ওপর দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভোটে জিততে চায়? পারলে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলুন হাফ প্যান্ট পরা, হাফ বুদ্ধিহীন ধর্মান্ধরা।”
সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনের কড়া সমালোচনা করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্যর প্রতিক্রিয়ার জবাবে মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘উনি তিনবার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন। তার বলার নৈতিক অধিকার নেই। যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, দেশের মানুষের দুঃখে-কষ্টে নেই, তার কোনো নীতিকথা শুনতে আমরা প্রস্তুত নই।”
দিলীপের এই মন্তব্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ টুইটারে তুলে ধরে মঙ্গলবার আক্রমণ করলেন মহুয়া মৈত্র।
এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন ‘লাভ জিহাদ’ আইন নিয়ে বলেন, ‘‘লাভ জিহাদ আইন মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। জীবন যাপনের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই আইনে সেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কোনো মানুষ নিজের ধর্ম বদলে অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন। সেটা সংবিধান স্বীকৃত। তাই আইনটি অসাংবিধানিক।”
এ দিকে অমর্ত্য সেনের বাড়ি নিয়ে বিশ্ব ভারতীর এক মন্তব্যে সম্প্রতি বিতর্ক উঠেছে। তার শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচীর সীমানায় বিশ্বভারতীর জমিও ঢুকে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই নোবেলজয়ী পক্ষে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী তথা কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যেই অর্থনীতিবিদকে চিঠি লিখেছেন তিনি। বাংলার পক্ষ থেকে মমতা ক্ষমাও চেয়েছেন। তা নিয়েই সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরাও।