বিপন্ন মানবতা, প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশ প্রশাসন । ।
আরিফ মাহফুজ: নীচের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে রশি দিয়ে টানিয়ে কাঁধে বাঁশ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একজন মানুষকে। একটি মৃত মানুষের লাশ। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না যে ঝুলন্ত বস্তুুটি এটি মানুষ। কারন ছোট বেলায় দেখেছিলাম আমাদের পাশের বাড়ীতে একটি শেয়াল মারা হয়েছিল, মারার পর ঠিক একই ভাবে দুইজন মানুষ মৃত শিয়ালটিকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল দুরে সুরমা নদীতে ফেলার জন্য। এটি প্রায় ২৫ বছর আগের কথা। তখন দুনিয়া অনেক পিছনে ছিল এতটা এডভান্স আর ডিজিটাল ছিলনা। আমাদের দেশও এত উন্নত ছিল না। ঠিক ২৫ বছর আগেও যদি কোন সাধারন মানুষ আমার সামনে দিয়ে একটি মৃত মানুষের লাশ নিয়ে যেত আমি নিতে দিতাম না প্রতিবাদ করতাম। কারণ এটি একটি মানুষের লাশ। আর বর্তমান জামানায় ত একটি শেয়াল কুকুরের লাশও এভাবে নিতে দিব না । কারন আমরা এখন অনেক আধুনিক অনেক শিক্ষিত। কোন গ্রামের কৃষক বা খুব একজন অশিক্ষিত মানুষও এধরনের কাজ করতে পারবেনা। কিন্তুু ভাইরালকৃত ছবিটিতে যারা লাশটিকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে তারা কোন সাধারন মানুষ বা অশিক্ষিত মানুষ না তারা পুলিশ প্রশাসনের লোক। নিশ্চয় এখানে উপরস্থ পুলিশ অফিসার ছিলেন তার নির্দেশেই লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কি করে নির্দেশ দিলেন একটা মানুষের লাশকে এভাবে বহন করে নিয়ে যেতে। তাহলে কি পুলিশরা মানুষকে মানুষ মনে করে না? নাকি উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েই চাকুরীতে চলে এসেছে ঘুষের বিনিময়ে। মানুুষের প্রতি এত অবহেলা কেন পুলিশ প্রশাসনের ?
মানবাধিকার কর্মীরাই বা কোথায় প্রায় দুইদিন হয়ে গেল বিষটি খবর হিসাবে পত্রিকায় এসেছে কিন্তুু তাঁদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। ধন্যবাদ জানাই তাঁকে যিনি এর প্রতিবাদ করে ফেইসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন-==(সালহেীন বপ্লিব নামে একজন পোস্ট করনে, মরদহেরে প্রতি এমন অসম্মান দখেে মানুষরে মানবকিতা নয়িে প্রশ্ন ওঠ।ে এটি কাম্য নয়। বাসুদবেপুর বাঙ্গাল রলেওয়ে ব্রজিরে নচি থকেে সান্তাহার রলেওয়ে পুলশি মরদহেটি উদ্ধার কর।ে কন্তিু একটা মৃতদহে দড়ি দয়িে বঁেধে এভাবে ঝুলয়িে নতিে ববিকে বাধল না ওদরে? ওরা কি এ দশেরে নাগরকি নয়?)
ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনাব সালেহীন বিপ্লব ভাইকে ধন্যবাদ জানাই ঘাটাইল অনলাইন প্রত্রিকাকে খবরটি প্রকাশ করার জন্য।
তবে একজন পাঠক বা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার ব্যাক্তিগদ মতামত হল–এই নিকৃষ্ঠ মানের কাজের মাধ্যমে মানবিকতাকে মারাতœক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। মরদেহের প্রতি এটা কলঙ্ক জনক অসম্মান। যা মানবজাতিকে ছোট করা হয়েছে। রাষ্ট্রের মর্দাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত সান্তাহার জিআরপি পুলিশ প্রশাসনকে আর যদি মানবাধীকার কর্মী ভাইবোনদের নজরে যদি বিষটি দৃষ্ঠিগোচর হয়ে থাকে তাহলে প্লিজ বিষয়টি নিয়ে কাজ করার বিশেষ অনুরোধ রইল। মানবতাকে আমরা বিপন্ন করে আদিম যগে নিয়ে যেতে চাই না। আমরা এখন বিংশ শতাব্দী পার হয়ে যাচ্ছি। মানুষ আর লতাপাতা পরিধান করে না। সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ভাষা হারা কন্ঠে আজ বিষয়টি দেখে আমি বাকশক্তিহীন। কেন আজ পদে পদে পুলিশের কাছে বিপন্ন মানবতা ? প্রশ্ন আমার —–
লেখক
আরিফ মাহফুজ
যুক্তরাজ্য