সরকার তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যা, গুম ও নির্যাতনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে: মহিলা দল
পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালপুর পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী ও পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিজা বেগমকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করে। গতরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।
এক বিবৃতিতে আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ এবং হেলেন জেরিন খান বলেন, “প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে জনগণের কাঁধে চেপে বসা বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ধারাবাহিকভাবে হত্যা, গুম ও নির্যাতনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জনসমর্থন শুণ্যের কোঠায় আঁচ করতে পেরেই স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে জোর করে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনরা ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস চালিয়ে দেশব্যাপী তান্ডব সৃষ্টির এক মহাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। আর এসব করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তাই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চায়। হাবিজা বেগমকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করা এবং গতরাতে তার হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী করছি।
হাবিজা বেগমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করছি। মরহুমার পরিবারবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন মরহুমা হাবিজা বেগমকে জান্নাত নসীব এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদেরকে এই শোক সইবার ও ধৈর্যধারণের ক্ষমতা দান করেন।”
বার্তা প্রেরক, (হেলেন জেরিন খান) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকেন্দ্রীয় কমিটি।