বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের কপালে সাদ্দাম হুসেনের চেয়েও ভয়াবহ দু:খ অপেক্ষা করছে
ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ আখ্যায়ীত করে তিনি বলেন, বিদায়ী এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কপালে সাদ্দাম হুসেনের চেয়েও ভয়াবহ দু:খ অপেক্ষা করছে।
ইরানের মন্ত্রিসভায় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প এক জন ‘অত্যাচারী, চূড়ান্ত খামখেয়ালি, নীতিহীন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং হত্যাকারী’ প্রেসিডেন্ট।
রুহানি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৪ বছর আগে বাগদাদের কারাগারে সাবেক ইরাকী প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ট্রাম্পের ভাগ্যেও এ ধরণের দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।
শিয়া রাষ্ট্র ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি সাদ্দামকে হত্যার সময় ইরাকের জনগণ ‘উল্লাস’ করেছিল।
সম্প্রতি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আমেরিকার দূতাবাসে রকেট হামলার ঘটনায় ইরানকেই দায়ী করেন ট্রাম্প।
ওই হামলার পিছনে ইরানের মদতপুষ্ট একটি সন্ত্রাসবাদী দলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাগদাদের মার্কিন সেনারাও। হামলায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, বড়সড় ক্ষতি হয়েছে মার্কিন দূতাবাস ভবনের।
জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, করোনা-সহ নানা বিষয়ে দেশের মাটিতে ব্যর্থতা ঢাকতে বিদেশের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।