চিনিকল বন্ধের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান আসকের
রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। অদূরদর্শী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের মাধ্যমে কিভাবে চিনিকলগুলাে লাভজনক করে তােলা যায় তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই আহবান জানায়।
এতে বলা হয়, অব্যাহত লােকসান কমাতে ডিসেম্বরের ১ তারিখেদেশের ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের মধ্যে পাবনা সুগারমিল, শ্যামপুর সুগারমিল, পঞ্চগড় সুগারমিল, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল, রংপুর সুগারমিল ও কুষ্টিয়া সুগারমিল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপােরেশন। আখ কাটার ভরা মৌসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলােতে আখ মাড়াই ও উৎপাদন বন্ধ ঘােষণা করার কারণে লাখ লাখ একর জমিতে উৎপাদিত আখ নিয়ে চাষিরা মহাবিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার চিনিকল শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছে।
এতে আরো বলা হয়, হঠাৎ করে এভাবে চিনিকলগুলাে বন্ধ হওয়ার ফলে আখচাষি ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বেসরকারী চিনিকলগুলাে লাভজনক হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কেন লােকসান হচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর জন্য দায়ী কর্তৃপক্ষের সময়ােপযােগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, আখের সল্পতা, বহু পুরনাে যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন, আখ প্রক্রিয়াজাতকরণে অদক্ষতা, দুর্নীতি ও পরিকল্পিত বিপণনব্যবস্থার অভাব। এ প্রক্রিয়ায় দেশের চিনি সিন্ডিকেটকে অধিক মুনাফার সুযােগ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযােগ উঠেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বেশিরভাগ নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে আন্দোলনরত শ্রমিক ও শ্রমিকনেতারা দাবি করছেন।
সংশ্লিষ্ট চিনিকলগুলাের বিদ্যমান সমস্যাগুলাে সমাধান না করে এবং আধুনিকায়নের জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা না নিয়ে এভাবে বন্ধ করে দেয়া অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের মতাে অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের মাধ্যমে কিভাবে চিনিকলগুলাে লাভজনক করে তােলা যায় তা খতিয়ে দেখার এবং কমিটির সুপারিশগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানায় আসক।