ভুল বালিশ ব্যবহারে ‘ঘাড়ে’ চাপবে বিপদ!
মানবদেহ সচল রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। নিয়মিত ঘুম কেবল শারীরিক ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সঠিকভাবে কর্মক্ষম করে। আরাম দায়ক ঘুমের জন্য প্রয়োজন সঠিক বালিশ নির্বাচন। ভুল বালিশের কারণে সারারাত কাটতে পারে নিদ্রাহীন। বাড়তে পারে ঘাড় ও কাঁদে ব্যাথা। পড়বেন স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায়। এর প্রভাব পড়তে পারে মেরুদণ্ডেও।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, আদিকাল থেকে মানুষ আরামদায়ক ঘুমের জন্য বালিশ ব্যবহার করে আসছে। প্রায় নয় হাজার বছর আগেও বালিশের ব্যবহার হতো। মেসোপটেমিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস সে কথাই বলছে। মিসরীয়রা বালিশ হিসেবে সে সময় পাথর ব্যবহার করতো। তবে নরম বালিশের ব্যবহার শুরু হয় গ্রিস ও রোমে। বর্তমান বিশ্বে ঘুমের জন্য বালিশের বিকল্প ভাবা যায় না।
তবে অনেকে ঘুমের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় না রাখার কারণে ডেকে আনেন বিপদ। সঠিক বালিশের অভাবে ঘাড় ও কাঁধে হতে পারে ব্যাথা। বালিশ নির্বাচনে ফোম না তুলা ব্যবহার করবেন এ নিয়ে চলে তুল পর্যবেক্ষণ। আবার সেটি বেশি উঁচু না নিচু হবে সে বিষয়েও সিদ্ধন্তর বাইরে থাকে। এ নিয়ে আজ ব্রেকিংনিউজের পাঠকের জন্য রইলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস-
বালিশের আকৃতি
বালিশের আকার কেমন হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম না থাকলেও চেষ্টা করুন মাথার মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বালিশ কিনতে। একটু বড় আকারের মাথা হলে সে ক্ষেত্রে কিং বা কুইন সাইজের বালিশ নিন। মাথার আকার ছোট হলে মিডিয়াম বা স্ট্যান্ডার্ড আকারের বালিশ কিনুন।
বালিশের উপকরণ
অনেকেই ফোমের বালিশ কেনেন কিন্তু তা শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। বরং কার্পাস তুলোর বালিশ কিনুন তা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
বালিশের উচ্চতা
পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা ফারাক, বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই ফারাক হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের উপরিভাগ ও বালিশের শেষ ভাগ যেন একে অপরকে স্পর্শ করে থাকে। কেনার সময় এই বিশয়টি মাথায় রেখেই কিনুন বালিশ।
বালিশের কাভার
বালিশের উপর একটা কভার ব্যবহার করুন। এতে মাথার তেলের জেরে বালিশ নোংরা হবে না। কভার বাছার সময় বেছে নিন সুতির কাপড়কে।
উল্লেখ্য, যে সব বালিশে মাথা একেবারে ডুবে যায়, সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। যে সকল বালিশ ব্যবহারে মেরুদণ্ড ঠিক থাকে চিকিৎসকরা এ সব বালিশ ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেন।