‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ নিয়ে কড়া বার্তা পরিচালকের
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাজারে মুক্তি পেলেও উত্তর আমেরিকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার থেকে দর্শক দেখতে পাবে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’। তখনই কড়া বার্তা দিলেন সিনেমাটির পরিচালক প্যাটি জেনকিনস। হুমকি দিলেন তৃতীয় কিস্তি নির্মাণ না করার।
সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে একই দিনে সব সিনেমা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এইচবিও ম্যাক্সে মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্নার ব্রস। যার আওতায় আছে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ সিক্যুয়ালও। স্টুডিও-র এমন ঘোষণায় চটেছেন অনেকে। সেই তালিকায় আছেন প্যাটি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সিরিজের তৃতীয় কিস্তির কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছেন। যদি থিয়েটারে মুক্তির কোনো পরিকল্পনা প্রযোজনা সংস্থা তুলে ধরতে না পারে তিনি ছবিটি বানাবেন না।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে স্পষ্ট করে বলেন. ওয়ার্নার ব্রস যদি ২০২১ সালে একের পর এক ছবি এইচবিও ম্যাক্সে মুক্তি দেয় তবে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান থ্রি’ করবেন না।
তবে এটাও বলেন, যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে ছবিটি করতে চান। এখনো বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তাই আপাতত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রেক্ষাগৃহ সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ওয়ার্নার ব্রসের সিদ্ধান্ত প্রেক্ষাগৃহ সংস্কৃতিকে বিপদে ফেলবে। এমনিতে নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো করোনার আবহে বাড়ন্ত অবস্থায় আছে। এর মধ্যে বড় স্টুডিওগুলো সেই বাজারে ভাগ বসাতে গেলে প্রেক্ষাগৃহ বর্জনে দর্শকেরা অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। যা করোনা পরবর্তী সময়ের হিসেব-নিকেশ পাল্টে দেবে।
এ সব বিবেচনায় প্যাটি জেনকিনস আশা করেন, প্রযোজনা সংস্থার এ সিদ্ধান্ত সাময়িক।
একই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সিরিজের প্রথম ছবিতে ওয়ার্নার ব্রসের চাপের মুখে ক্লাইমেক্স দৃশ্যে পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। যে কারণ দর্শক-সমালোচকেরা তার নিন্দা করেছিলেন।