এবার সাইবার হামলার জন্য চীনকে দায়ী করলেন ট্রাম্প

0

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্প্রতি চালানো সাইবার হামলার জন্য চীনকে দায়ী করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এমন সময় চীনকে দায়ী করে বক্তব্য দিলেন যখন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ মার্কিন গণমাধ্যমগুলো ওই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ভুয়া গণমাধ্যমগুলো সাম্প্রতিক সাইবার হামলাকে বড় করে তুলে ধরার ব্যাপক চেষ্টা করেছে। আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যমগুলো যাকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছে সে হচ্ছে রাশিয়া। কারণ অর্থনৈতিক কারণে তারা যা নাম মুখে আনতে ভয় পায় সেটি হচ্ছে চীন।’

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় ধরনের সাইবার হামলা সম্পর্কে প্রথমদিকে বেশ নীরব ছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার বেশ দেরিতেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন এই প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, একটি বিদেশি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গত রোববার একটি হ্যাকার গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। মার্কিন অর্থ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগসহ দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহে বহুবার সাইবার হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এর আগে ওই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে পম্পেও বলেছেন, ‘আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি যে, এই ঘটনায় রাশিয়ার হাত রয়েছে।’ তবে মস্কো কিভাবে এই হামলা চালিয়েছে বা কেন তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হলো এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি তিনি। অপরদিকে রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি জানিয়েছে, এ ধরনের হামলায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র-ব্যবস্থাপণার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থাও হামলার শিকার হয়েছে।

এর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দফতর। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এই প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সাইবার হামলা পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দেশটির জ্বালানি দফতর বলছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে, যুক্তরাজ্যসহ আরও কিছু দেশের বিভিন্ন সংস্থাও বলছে, একই ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার দিয়ে তারাও হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গবেষকরা এই হ্যাকিংকে সানবার্স্ট বলে উল্লেখ করেছেন। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সাইবার হামলার কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com