আ.লীগে জং ধরেছে,পঁচাত্তরের মতো ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে: আলাল

0

আওয়ামী লীগে জং ধরেছে এবং এক সময় ভেঙে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার আওয়ামী লী‌গের দি‌কে ভা‌লো ক‌রে তাকান । আপনার মহানুভব আওয়ামী লীগে জং ধরেছে। এক সময় কয়েক টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে যাবে।’

বৃহস্প‌তিবার (১৭ ডি‌সেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের তফাজ্জল হো‌সেন মা‌নিক মিয়া হ‌লে ন‌্যাশনাল ডে‌মো‌ক্রেটিক পা‌র্টি (এন‌ডি‌প) এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপল‌ক্ষে ‘স্বাধীনতা আজ বিপর্য‌য়ে নৈ‌তিকতার অবক্ষয় বিপন্ন মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে আলাল আরও বলেন, ‘লোহাকে কেউ ভাঙতে পারে না। কিন্তু লোহা নিজে নিজে ক্ষয় হয়ে ভেঙে যায়। লোহায় যখন মরিচীকা পড়া শুরু হয়। তখন সেই লোহা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। একটা সময় কয়েক টুকরো হয়ে যায়। আপনার আওয়ামী লীগেও লোহার মতো মরিচীকা ধরেছে। আপনার মহানুভব আওয়ামী লীগে জং ধরেছে। এক সময় কয়েক টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে যাবে। দেখেন নাই পঁচাত্তরের পড়ে ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। আপনি ৮১ তে না আসলে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খোঁজা লাগতো আওয়ামী লীগ কোথায় আছে। নিজেদের দিকে একটু ভালো করে তাকান।’

বন্ধুরূপী শত্রুদের সাথে যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, যেকোনও কিছুর বিনিময়ে আপোষ করে। তাদের কাছে বিজয়ের স্বাদ পাওয়ার কোনও উপায় নেই। আজ বাংলাদেশের অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে তাই। তার চেয়ে দুঃখজনক হলো ৫০ বছর পরে আজকে আমাদের সেই হিসাবটা করতে হচ্ছে, আমরা কি চেয়েছিলাম আর কি পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এই বছরের ৮ই মার্চ কোভিড-১৯ বাংলাদেশে হানা দিয়েছে। যাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি সেই মাসের ২৪ তারিখ প্রথম ও শেষ মিটিং করেছে। এই মাঝখানে যে দুর্নীতি, লুটপাট, ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করা। বিদেশের কাছে খাটো করা। কোনও ব্যাপারেই তাদের ঘুম ভাঙেনি। তারা তাদের নেত্রীর মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসে আছে। মিটিং করেছে। যে কারণে সাহেরা, সাবরিনা তৈরি হয়েছে, মিঠু তৈরি হয়েছে, তোফাজ্জল তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তার ড্রাইভারদেরকে দেখে বিসিএস কর্মকর্তা বলেন স্বাস্থ্যের কোনও কর্মকর্তার ড্রাইভার হলেই ভালো হতো। বিজয়ের ৫০ বছরে এসে এসব আমাদেরকে তারা উপহার দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘আপনারা কথায় কথায় বলেন সাম্প্রদায়িক শক্তি রুখে দিব। কথায় কথায় বলেন পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পরাজিত শক্তি কারা? সাম্প্রদায়িক শক্তি কারা? একটি দল একটি গোষ্ঠী। দেশে যারা বিভাজন সৃষ্টি করে, তারা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। এখনও তারা তাই করছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও তার কন্যার সাথে যারা জড়িত আছেন। তারা কথায় কথায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধে কোনও ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা ছিল না। এই সরকার যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে সেটা হল ধর্মহীনতা। মুসলমানরা কথা বললেই সেটার মধ্যে মৌলবাদ খুঁজে পায়।’

আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আচার আচরণে মনে হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ১০ হাত দিয়ে একাই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। অথচ ওই ঐতিহাসিক সত্য হলো স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তিনি দেশে ছিলেন না।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে দেশের গণতন্ত্র হরন হয়েছে। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আবার ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে সেই গণতন্ত্র কে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে আমরা বলতে পারব স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে কিছু একটা পেয়েছি।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কে এম তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন নাগ‌রিক ঐক‌্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পা‌র্টির চেয়ারম‌্যান ডা. মোস্তা‌ফিজুর রহমান ইরান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com