আমাদের আন্দোলন বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠার: মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকার ডাকাতদের সরকার। এখন ওরা যদি আমাদের বলে এই যে সভা করছেন এর বৈধতা কি? এই যে আন্দোলন করছেন এর বৈধতা কি। সবার আগে আমিও তাদের প্রশ্ন করতে চাই, তোমাদের কি বৈধতা আছে? বৈধ একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তো আমরা আন্দোলন করছি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, দ্বিতীয় দফা করোনার আক্রমন শুরু হয়েছে, সরকার বলছে। সারা বিশ্বে আমরা দেখছি কত লোক মারা যাচ্ছে, আমেরিকাতে কত, ইউরোপে কত। কিন্তু আমাদের এখানে সত্যি সত্যি কত লোকের অসুখ হয় আর কত লোক মারা যায় এটা তো আমরা বুঝতে পারি। টিআইবির মত প্রতিষ্ঠান, সিপিডির মত প্রতিষ্ঠান বলে, সরকার যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করে এগুলো সত্য নয়। আইএসিডিয়ার গবেষণা করে বলেছে, ঢাকা মহানগরের অর্ধেকের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এত বড় দূর্যোগ নিয়ে সারা পৃথিবী যখন চিন্তিত, আমাদের দেশের সরকার সেখানে রোগের পরীক্ষায় করাতে পারেনা। হয় হাসপাতাল নাই, নয়ত যন্ত্র নাই, ডাক্তার নাই কিংবা সব ভুয়া হাসপাতাল তৈরি হয়ে আছে। ভুয়া সার্ফিফিকেট দেয়। সরকার যেমন ভুয়া, অসুখের সার্টিফিকেট তেমনি ভুয়া।
মান্না বলেন, সারা দুনিয়ার লোক এখন বাংলাদেশকে ঘৃণাই করে, দূরে থাকতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ যখন বিদেশের মাটিতে পা রাখে তখন হাজার পরীক্ষা করার কাগজ দেখালে বলে মিথ্যা বলছো, তোমাদের এগুলা ঠিক না। ‘সরকারের সরকার আমাদের কোভিড থেকে বাচাতে পারবেনা।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আরো বলেন, অসুখ বিসুখ হয় তাহলে করোনার নাম করে ডাক্তাররা করে করোনার সার্টিফিকেট আনেন। তারপরে দেখব। সেই সার্টিফিকেট পেতেই কত সময় লাগে। মুমুর্ষ রোগী হার্ট এটাক হয়ছে, সেও ততক্ষনাত চিকিতসা পাচ্ছেনা।
খাবারইতো না। ১০ টাকা করে চাল খাওয়াবো ভোটের আগে বলেছিল। এখন চালের কেজি কত করে? সমস্ত কিছুর দাম বেশি৷ সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা নাই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনা আসবার আগে, মার্চের আগে অতি দরিদ্রের সংখ্যা ছিল ২ কোটি। এখন গত ৮ মাসে সেটা ৩ কোটি ৬০ লাখ। করোনার মধ্যে এতো লোকের অবস্থা খারাপ হয়েছে৷
‘যারা কিন্টারগার্ডেন চালাতেন তারা সেটা বন্ধ করে দেশে গিয়ে চা বিক্রি করছেন। আর আমাদের সরকার পদ্মায় একটা স্প্যান বসায় বলছে দেখো স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে। আমরা কেউ পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে নই, ফ্লাইওভার, রাস্তা বানানোর বিপক্ষে নই, কিন্তু আমরা এই কথা অবশ্যই বলব ফ্লাইওভার খেয়ে আর ব্রিজ খেয়ে তো আর মানুষ বাচবেনা।’