ভারতের কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে অস্বস্তিতে জনসন
ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলনকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দ্বন্দ্বের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সংসদে তানমানজিত সিং দেশাই, ভারতে কৃষক আন্দোলন দমনের যে চেষ্টা চলছে সে ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চান।
দেশাই প্রশ্ন করেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের অচল অবস্থায় আমাদের উদ্বেগ জানাবেন না? তিনি কি মনে করেন না যে সবারই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে?
জবাবে বরিস বলেন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তবে এর সমাধানে দুই দেশের সরকারকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যকে অজ্ঞতাপূর্ণ ও হতাশাজনক বলে টুইট করেন তানমানজিত সিং দেশাই।
টুইটারে এ নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকে। ব্রিটেনের অন্য একজন সংসদ সদস্য আফজাল খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত পাকিস্তান সম্পর্কে তার মুখস্ত করা উত্তর দিয়েছেন। এই প্রতিবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতের শস্যের বাটি হিসাবে খ্যাত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের হাজার হাজার কৃষক নয়াদিল্লির মহাসড়কগুলকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ভারতের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন তারা। কৃষকদের অভিযোগ, এই আইনের ফলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। শুধুমাত্র বড় কোম্পানি গুলোই এতে লাভবান হবে।
অন্যদিকে পারমানবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে। এ পর্যন্ত দেশ দুটি তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে, যার ভেতর দুটি যুদ্ধ ছিল কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে।