শেষ সময়েও চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে এসেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন চীনের আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সাম্প্রতিক এক নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আগামী বছর থেকে কালো তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আর নিরাপত্তা সরঞ্জাম কিনতে পারবে না। সেগুলো হলো চীনের শীর্ষ চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসি এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিএনওওসি।
সন্দেহজনক চীনা সামরিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিরক্ষা দপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত করতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন। একটি নথি ও একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগেই এ দুই প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ দুই প্রতিষ্ঠানে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার রাস্তা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে এটি বেইজিং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা বাড়াবে। এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর চীনের সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা তাদের নিয়ন্ত্রিত আরও চারটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে।
মার্কিন প্রশাসনের তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানাচ্ছে বলছে, এরই মধ্যে চীনের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (এসএমআইসি) ও চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশন (সিএনওওসি) হতে যাচ্ছে নতুন দুই প্রতিষ্ঠান। তবে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে কবে নাগাদ কালো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করা হয়নি। এ তালিকায় আরও যুক্ত হতে পারে চায়না কন্সট্রাকশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড (সিসিটি) ও চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং করপোরেশন (সিআইইসি)।
এ বিষয়ে এসএমআইসি বলেছে, তারা মার্কিন সরকারের সঙ্গে মুক্ত ও গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। তাদের পণ্য ও সেবা পুরোপুরি বেসামরিক ও বাণিজ্যিক। এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এই কোম্পানির কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো সামরিক পণ্য এই প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে না।’
এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং রয়টার্সকে বলেন, চীন আশা করে যুক্তরাষ্ট্র চীনা কোম্পানির সঙ্গে এমন কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না, যাতে সহযোগিতার সম্পর্কে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ও ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।