ইরানকে ভয় পাচ্ছে সৌদি আরব!

0

ইরান কি পরামাণু বোমা তৈরীর কাছাকাছি চলে এসেছে? যেকোনো সময় তারা বোমা তৈরী করে ফেলতে পারবে? আর তাই দেশটিকে ভয় পাচ্ছে সৌদি আরবসহ অনেক দেশ?

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ২০১৫ সালে করা পরমাণু সমঝোতাচুক্তি উপেক্ষা করে ১২ গুণেরও বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান। এমন অভিযোগই ওঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) তথ্যমতে, এখন ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার ৪৪২.৯ কেজি। ইরানের ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণে উদ্বিগ্ন সৌদি আরব। মূলত পারমাণবিক বোমা তৈরিতে এ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। সৌদি আরবের ধারণা, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে।

সমৃদ্ধ এসব ইউরেনিয়াম দিয়ে যেকোনো সময় বানিয়ে ফেলতে পারে মারণাস্ত্র। তবে ইরান সব সময়ই দাবি করে আসছে যে, তারা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইউরেনিয়ামের মজুদ ১০ গুণ বাড়ায় ইরান। সে সময় ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১০৫ কেজি। আইএইএ বলছে, অঘোষিত স্থানে পারমাণবিক উপাদানের উপস্থিতির পক্ষে ইরানের ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

এ দিকে তেহরানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। তিনি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ঠেকাতে দেশটির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে ভাষণ দেন ৮৪ বছরের বাদশাহ সালমান। সেই ভাষণে তেহরানকে নিয়ে রিয়াদের দীর্ঘ উদ্বেগের কথা জানান তিনি।

সৌদির সাথে শান্তিচুক্তির প্রত্যাশা ইসরাইলি মন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর শান্তিচুক্তিতে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পথ ধরে এবার ইসরাইলের সাথে সৌদি আরব শান্তিচুক্তিতে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গাবি আশকেনাজি।

তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলের অন্যতম খেলোয়াড় সৌদি আরব। এই অঞ্চলে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আমি মনে করি তারা যোগ দিলে সেটা খুবই গুরুত্ব বহন করবে। খালিজ টাইমসকে দেয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। কারণ, তারা এরই মধ্যে অনেকটাই সহায়ক, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে, তারা বাহরাইনের সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করেছে। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি বিমান সংস্থাগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিয়েছে সৌদি আরব। এতে করে এই চুক্তির সাফল্যে যথাযথ অবদান রেখেছে দেশটি। এটা স্পষ্ট যে তারা সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরো বলেন, তাদের (সৌদি আরবের) সময় দরকার। আমরা বুঝতে পেরেছি এবং এ জন্য আমরা চাপ দিচ্ছি না।

সূত্র : খালিজ টাইমস ও বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com