লাদেন হত্যার খবর শুনেও শান্ত ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান!

0

পাকিস্তানের মাটিতে আলকায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার জন্য নিন্দা নয় বরং অভিনন্দন ও প্রশংসাই জুটেছিল আমেরিকার। খবরটি শুনে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেছিলেন, ‘খুব ভালো খবর’। এমনকী ওসামার খতমের খবর শুনে কীভাবে উগ্রবাদীদের হাতে তার স্ত্রী বেনজির ভুট্টো খুন হয়েছিলেন, তা ওবামাকে জানিয়েছিলেন আবেগাপ্লুত জারদারি।

ওবামা স্বীকার করেছেন, জারদারির এই প্রতিক্রিয়ায় তিনি কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আত্মজীবনী, ‘আ প্রমিস ল্যান্ড’। সেখানেই লাদেন হত্যা নিয়ে মার্কিন সরকারের প্রস্তুতি ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ওবামা জানিয়েছেন, ওসামাকে হত্যা করার পর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানিকে ফোন করেছিলেন সাবেক মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেন। ওই খবর শোনার পর বেশ শান্ত ছিলেন কিয়ানি। ওবামার কথায়, ‘লাদেনকে হত্যার কথা বিস্তারিতভাবে মুলেনকে প্রকাশ্যে আনতে অনুরোধ করেছিলেন কিয়ানি। এতে পাকিস্তানি জনসাধারণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রশমন করতে সুবিধা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।’

২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের প্রশিক্ষিত সেনাসদস্যদের হাতে খুন হন তৎকালীন আল কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেন। ওবামা জানিয়েছেন, লাদেনের অবস্থানের খুঁটিনাটি জানার পরে তার মনে হয়েছিল, পাকিস্তানের প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে এটি ‘ওপেন সিক্রেট’।

ওবামার মতে, লাদেনের অ্যাবটাবাদে থাকার কথাও পাকিস্তান জানত। তাই অতি গোপনে লাদেন হত্যার ছক কষা হয়। অভিযানের আগের দিন সাবেকন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন জানিয়েছিলেন, এই অভিযানের সাফল্যের সম্ভাবনা ৪৯ শতাংশ। ব্যর্থতার কথা ভেবে অভিযানের বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

সূত্র : বর্তমান

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com