বড়পুকুরিয়া মামলা: খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি

0

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলায় চার্জ গঠন শুনানি আরও এক দফা পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক রুহুল আমিন আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন। 

এর আগে গেল ১৭ সেপ্টেম্বর চার্জ শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত। আগের দফায় গেল ২০ আগস্টও মামলাটির চার্জ গঠন শুনানি পিছিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। 

কিন্তু ওই দুই তারিখেই বেগম জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তাঁর পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা। দুবারই আদালত আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি (ষড়যন্ত্রমূলক) দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ঠিকাদার সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

আলোচিত এ (ষড়যন্ত্রমূলক)মামলার মোট আসামির সংখ্যা ছিল ১৬ জন। তবে এরইমধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর ব্যারিস্টার আমিনুল হক, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া, সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় আসামির সংখ্যা কমে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। 

সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি (ষড়যন্ত্রমূলক) দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com