দেশে এখনও আইসিইউ-ভেন্টিলেটরের সংকট বিদ্যমান: টিআইবি
রোগী না থাকার কারণে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করা হলেও দেশে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ (২য় পর্ব) শীর্ষক জরিপের ফল প্রকাশ করে টিআইবি।
সংস্থাটি একটি জরিপে বলা হয়েছে, জটিল করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় আইসিইউ, ভেন্টিলেটর সেবা জেলা পর্যায়ে অপ্রতুল। মোট ৫৫০টি আইসিইউ’র মধ্যে ঢাকায় ৩১০টি (৫৬.৩%) এবং অন্যান্য বিভাগীয় এলাকায় যেমন রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় জনসংখ্যা অনুপাতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সংকট বিদ্যমান। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশে শয্যা ও আইসিইউ এর কোনো সংকট নেই দাবি করা হয়েছে।
জরিপের ফলে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষাগারের সংখ্যা বাড়লেও এখনো প্রতিবেদন পেতে ১ থেকে ৫ দিনের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। জরিপে দেখা গেছে, সেবাগ্রহীতার ৯.৯ শতাংশ ভুল প্রতিবেদন পেয়েছে। মাত্র ১৩টি জেলায় ১৩টি বুথ এবং ঢাকায় একটি প্রবাসীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যথাসময়ে প্রতিবেদন না পাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
১৬ই জুন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১১টি করে পরীক্ষাগারে কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না; ২রা আগস্ট সর্বোচ্চ ৩৮টি পরীক্ষাগারে কোনো পরীক্ষা হয়নি। যান্ত্রিক ত্রুটি, পরীক্ষাগার রক্ষণাবেক্ষণ, পরীক্ষাগারে ভাইরাসের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে পরীক্ষাগার বন্ধ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ বেশি না হলে বেসরকারি ল্যাব পরীক্ষা বন্ধ রাখে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেন মুহাম্মাদ জুলকারনাইন, মুহাম্মাদ নূরে আলম, মোরশেদা আক্তার, তাসলিমা আখতার, মনজুর ই খোদা।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ অংশ নেন।