ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও আজীবন যেসব সুবিধা পাবেন ট্রাম্প

0

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেছে। আড়াই মাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সরকারি দায়িত্ব থেকে অন্তত ৪ বছরের জন্য তো বটেই অবসরে যেতে হচ্ছে তাকে। তবে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হলেও ট্রাম্পের জন্য সরকারি খাতে খরচ খুব কম হবে না আমেরিকায়।

বেশ মোটা অঙ্কের পেনশন তো পাবেনই আজীবন। সঙ্গে পাবেন আমেরিকার চকচকে এলাকায় অফিস চালানোর বিশাল জায়গা। তার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। সেই অফিসে বহু কর্মী রাখার যাবতীয় খরচও। তাছাড়াও পাবেন বিস্তর ঘোরাঘুরি আর টেলিফোনের খরচে প্রচুর ডলার। আর আজীবন পাবেন তার ও তার পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধা। যার সব খরচই বহন করবে আমজনতা, তাদের জমা দেওয়া আয়করের মাধ্যমে।

শুধু ট্রাম্প নন, তাকে নিয়ে আমেরিকার যে ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট এখনো পর্যন্ত অবসরে গিয়েছেন আজীবন তাদের সকলের জন্যই সরকারি খাতে পেনশন-সহ ওই সব ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ থাকে প্রতি বছরের বাজেটে। আমেরিকার সংবিধান মোতাবেক যার শুরুটা হয়েছিল ১৭৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই।

সব সাবেক প্রেসিডেন্টই আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী, বেতন পান প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটের সদস্যদের এখনকার বেতনের মতো। ২০১৭ সালে সেই পরিমাণ ছিল প্রতি বছরে ২ লাখ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। এর মধ্যে অন্যান্য ভাতা নেই, মনে রাখবেন।

২০১৮ সালে কংগ্রেসে যে বাজেট প্রস্তাব জমা পড়েছিল তাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের জায়গার জন্য খরচ জানানো হয়েছিল ৫ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আর এক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ঘোরাঘুরির জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৮ হাজার ডলার।

শুধু তাই নয় সাবেক প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রীদের মোটা অঙ্কের পেনশন পাওয়ারও অধিকার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংবিধানে। সেটাও খুব কম নয়! বছরে ২০ হাজার ডলার। আজীবন। সঙ্গে তারাও পান ঘোরাঘুরি, টেলিফোন ও যোগাযোগরক্ষার যাবতীয় খরচ।

২০১৫-সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তার পরিবারের নিরাপত্তারক্ষার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২ লাখ ডলারেরও বেশি। আর সেই খরচটা আর এক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ক্ষেত্রে ছিল ৮ লাখ ডলার।

এসব ছাড়াও আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কোনো নামজাদা কর্পোরেট সংস্থার পরিচালন বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানা প্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়ে প্রচুর ডলার উপার্জন করতে পারেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া রয়েছে।

অবসর নেওয়ার পর শুধু বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উপার্জন করেছিলেন সাড়ে ৬ কোটি ডলার। আর আত্মজীবনী ছাপিয়ে রোজগার করেছিলেন দেড় কোটি ডলার।

এই সব সুযোগই থাকবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও।

সূত্র : আনন্দবাজার

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com