খেলার মাঠেও দুর্দান্ত ছিলেন বাইডেন

0

জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র, যিনি জো বাইডেন নামেই পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হয়ে  ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে লড়ছেন তিনি।

বর্তমান সময়ের তুখোড় রাজনীতিবিদ বাইডেন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন একজন তুখোড় ক্রীড়াবিদও। অন্যদের থেকে তার দৌড়ের গতি ছিল অনেক বেশি। বাইডেন নিজেই স্বীকার করেন, তার খেলোয়াড়ি নৈপুণ্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করত। খেলার মাঠে নিজেকে প্রমাণের মাধ্যমেই সব সমালোচনাকারীদের মুখ বন্ধ করে দিতেন তিনি।

বাইডেন ছিলেন ক্লেমন্ট, ডেলাওয়্যারের আর্চমিয়ার অ্যাকাডেমি নামের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। সে স্কুলের ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উইলমিংটনের প্রধান সংবাদপত্র দ্য নিউজ জার্নাল ওই মৌসুমে আর্চমিয়ার ফুটবল দলের পারফরম্যান্স নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বাইডেন সম্পর্কে লেখা হয়, ‘দলের সেরা পাস রিসিভারদের একজন।’

ওই সময়ে আর্চমিয়ার ফুটবল দলের কোচ ই জন ওয়ালশ ২০০৮ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাইডেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

১৯৬০ সালে ওয়ালশ দায়িত্ব নেন আর্চমিয়ার ফুটবল দলের। তিনি যখন দলের দায়িত্ব নিলেন, তার আগের মৌসুমেই আর্চমিয়ার ছয় ম্যাচে হারের বিপরীতে স্রেফ একটি ম্যাচ জিতেছিল। এমনকি ১৯৪৮ সালের পর থেকে আর কোনো মৌসুমেই দুইটির বেশি ম্যাচ জেতেনি তারা। এই দুর্বল দলেই লেফট হাফব্যাক হিসেবে খেলতেন বাইডেন। ওই মৌসুমে আর্চমিয়ার চমকে দেয় সবাইকে। আট ম্যাচের সবগুলোতেই জিতে কনফারেন্স শিরোপা ঘরে তোলে। আর এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন বাইডেন।কনফারেন্স টুর্নামেন্টে মোট ২৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতার পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। এছাড়া নন-কনফারেন্স ম্যাচগুলো হিসেব করলে ওই মৌসুমে বাইডেনের পয়েন্ট ছিল ৬০ এর অধিক, যা গোটা ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যেরই অন্যতম সর্বোচ্চ।

২০১২ সালের মে মাসে ডেলাওয়্যার স্পোর্টস হল অফ ফেমে বাইডেনের কোচ ওয়ালশকে অন্তর্ভু্ক্ত করা হয়। সেদিন গুরুকে সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন।

এদিকে দ্য নিউজ জার্নালের ভাষ্য মতে, বাইডেন কিন্তু শুধু ফুটবলই না, আর্চমিয়ার বেসবল দলেরও একজন সদস্য ছিলেন। বাইডেন আউটফিল্ডে খেলতেন এবং ব্যাট করতেনও লাইনআপের শেষার্ধে। 

বিশ্ববিদ্যালয় জিবনেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন বাইডেন।তবে খেলাধুলার কারণে পড়াশোনা ঠিকমত হচ্ছিলো না, জিপিএর অবস্থাও ভালো ছিল না। তখন তিনি বাবা-মাকে কথা দেন যে, তিনি সিলেবাসের পড়ায় মনোনিবেশ করবেন। পড়াশোনায় মনোযোগ দিলেও খেলাধুলার সঙ্গে চিন্ন হয়নি তার।

বাইডেনের ক্রীড়া দক্ষতা ও লড়াকু মানসিকতা পরবর্তীতে তার রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক সাহায্য করেছে। 

ক্রীড়াপ্রেমী বাইডেনকে সমর্থণ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ক্রীড়াবিদরা।  এনবিএ কোচ স্টিভ কের, সাবেক টেনিস তারকা বিলি জেন কিং, নারী ফুটবল তারকা মেগান রপিনো, এনবিএ তারকা ক্রিস পলদের মত ক্রীড়াবিদরা বাইডেনের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com