পুষ্টিহীনতায় ‘৭ ইঞ্চি’ উচ্চতা হারাচ্ছে বাংলাদেশি মেয়েরা
ক্রমেই বাংলাদেশের মানুষ উচ্চতা হারাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে উচ্চতা সম্পন্ন তরুন-তরুণী খুঁজে পাওয়া যেন দায়। উচ্চতায় ডে দেশের মানুষেরা এগিয়ে সে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সহ চারটি দেশের ছেলে-মেয়েরা সাত ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতা হারাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নমানের পুষ্টি ও খাবার গ্রহণকে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত নিবন্ধে সবচেয়ে ছোট মেয়েদের তালিকায় (১৯ বছর) বাংলাদেশের নাম দেখা গেছে। বাকি তিন দেশ হলো- নেপাল, গুয়াতেমালা এবং তিমুর।
গবেষণায় উল্লেক করা হয়, অ্যাস্টাজেনেকার সহযোগিতায় দ্য ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ৬৫ মিলিয়ন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে গবেষণাটি করেছেন।
২০১৯ সালে সংগ্রহ করা ওই তথ্যে সবচেয়ে বেশি লম্বা দেখা গেছে নেদারল্যান্ডস, মন্টেনেগ্রো, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ডে ১৯ বছর বয়েসী কিশোরীদের। ভিন্ন দেশের তুলনায় এই পর্যবেক্ষণে লম্বা দেশের চেয়ে খাটো দেশের কিশোর-কিশোরীদের ওজন কম দেখা গেছে।
ফলাফলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের গড় উচ্চতা যতটুকু নেদারল্যান্ডসের ১১ বছর বয়সীদের উচ্চতা ততটুকু!
গবেষণা প্রতিবেদনে সিনিয়র লেখক মজিদ এজাতি বলেছেন‘ এতে বোঝা যাচ্ছে স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কলে যাওয়ার দিনগুলোতে বাচ্চাদের ওপর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ বড় পার্থক্য আছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে অনেক দরিদ্র পরিবার পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না’
তবে খাটো তালিকায় বাংলাদেশে কিশোররা না থাকলেও উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের সবচেয়ে নিম্নমানের তালিকায় তাদের দেখা গেছে।
বিএমআই বা বডি ম্যাস ইনডেক্স সূচকে ভারত, বাংলাদেশ, তিমুর, ইথিওপিয়ার ছেলে-মেয়েদের বিএমআই সবচেযে কম। শুধু মেয়েদের মধ্যে জাপান এবং রোমানিয়ার কিশোরীদের সবচেয়ে কম।