যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট গণনায় বিদেশি কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করেছে, এমন কোনো প্রমাণ সরকারের কাছে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাইবার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ক্রিস্টোফার ক্রেবস বলেন, “কোনো বিদেশি পক্ষ আমেরিকানদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছে অথবা ভোটের গণনায় পরিবর্তন করতে পেরেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।”
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টার পেছনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
ক্রেবস বলেন, “ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলাকালীন বা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে বিদেশি কোনো পক্ষ যেন প্রভাব খাটাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি অব্যাহত রাখবো আমরা।”
এ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির এখন পর্যন্ত কারচুপির অভিযোগ করার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নিলেও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এ নির্বাচনে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া ৪৭৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ২৬৪টি গেছে তার ঘরে। প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরাল।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে লড়াই চলছে বাইডেন-ট্রাম্পের। জয় পেতে দরকার দুই-তৃতীয়াংশ ইলেক্টোরাল, অর্থাৎ ২৭০টি। সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ থেকে আর মাত্র ছয়টি ইলেক্টোরাল দূরে আছেন বাইডেন।
এখন পর্যন্ত ঝুলে আছে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের ফল। এসব রাজ্যের ৮৭টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ছয়টি পেলেই ট্রাম্পকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসবেন ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন।