‘দুর্নীতির বিষয়ে উচ্চপদস্থদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে’

0

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমরা শুধু চুনোপুঁটিদের ধরছি না, রাঘববোয়ালদের ধরা হচ্ছে। অনেক উচ্চপদস্থ লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট’র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।

এদিকে ক্যাসিনোকান্ডে গ্রেফতার যুবলীগের খালেদ মাহমুদ ভুইয়া ও জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদকের টিম। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের টিম মঙ্গলবার পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কীভাবে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছে, দেশের বাইরে কত টাকা পাচার করেছে- তা জানতে চান তারা। খালেদকে দ্বিতীয় দিন, জি কে শামীমকে তৃতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন তারা।

জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। তিনি বলেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে যাদের নাম আসছে তারা যেসব দেশে অর্থ পাচার করেছেন, সেসব দেশে চিঠি দেয়া হবে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এফবিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের সহায়তাও নেয়া হবে।

দুদক চেয়ারম্যান মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, দুর্নীতি একটি গভর্নেন্স ইস্যু। আমরা সমন্বিতভাবে সরকারি পরিষেবা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে কমিশন বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কমিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য চিঠি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এ স্মারক স্বাক্ষর হলে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, এফবিআইয়ের দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে দুদক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। তদন্ত ও প্রসিকিউশনে অভিজ্ঞ রিসোর্স পারসনদের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চায় কমিশন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, অপরাধীদের গতিবিধি, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায় কমিশন। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে উন্নতমানের ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে আপনারা সহযোগিতা করতে পারেন।

প্রতিনিধি দলটি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চায়- দুদকের ৩০ শতাংশ মামলায় খালাস পাওয়ার কারণ কি দুর্বল তদন্ত নাকি দুর্বল প্রসিকিউশন অথবা অন্য কিছু? জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের মামলায় সাজার হার একসময় মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশন দুই শতাধিক মানিলন্ডারিং মামলা করেছে। এর মধ্যে ১৬টি মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। সাজার হার শতভাগ।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, অপরাধীদের গতিবিধি, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায় কমিশন। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে।

জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আবাসিক আইন উপদেষ্টা এরিক ওপাঙ্গার সঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুই কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com