ভারতকে দেখিয়ে সীমান্তে রকেটচালিত মাইন লঞ্চারের পরীক্ষা চালাল চীন

0

চীনের পিপলস লিবারেশান আর্মির (পিএলএ) তিব্বত মিলিটারি কমাণ্ড সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় ট্রাকে বহনযোগ্য রকেট চালিত মাইন লঞ্চারের লাইভ পরীক্ষা চালিয়েছে। এই অস্ত্রগুলো যুদ্ধের সময়ে কোন নির্দিষ্ট এলাকা লকডাউন করে দিতে পারবে এবং ম্যানুয়ালি মাইন স্থাপনের চেয়ে এগুলো অনেক বেশি কার্যকর বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।

পিএলএ তিব্বত মিলিটারি কমান্ডের অধীনস্থ একটি ব্রিগেড ৪৩০০ মিটারের বেশি উচু এলাকায় বেশ কতগুলো ট্রাকে

বহনযোগ্য বহুমুখী রকেটচালিত মাইন লঞ্চার নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রাউণ্ডে সেগুলোর পরীক্ষা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সেখানে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এবং একটা পুরো অঞ্চল জুড়ে মাইন ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিম্ন তাপমাত্রা এবং অক্সিজেনের স্বল্পতার জায়গাতেও শত্রু সেনার অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে তারা।

বিবৃতির সাথে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে একটি ট্রাকে ৪০টি রকেট লঞ্চার ব্যারেল বহন করা হচ্ছে, এবং রকেটচালিত মাইনগুলো স্বল্প বিরতি দিয়ে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যে কোন গতানুগতিক রকেট লঞ্চার সিস্টেমের মতোই এগুলো ব্যবহার করা যায়।

বিবৃতিতে এই অস্ত্রের ডিজাইন ও বিশেষত্বের ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।

ট্রাকে বহনযোগ্য রকেটচালিত এই মাইন লঞ্চারের বৈশিষ্ট্য হলো এটা সহজেই স্থানান্তরযোগ্য। এটা দিয়ে যে মাইনগুলো নিক্ষেপ করা হয়, সেগুলো মাটিতে পোতা থাকে না, বরং ভূমির উপর ছড়িয়ে থাকে। চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে (সিসিটিভি) সামরিক বিষয়ক অনুষ্ঠান ওয়েইহুতাং-এ বুধবার এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত্রু সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রার গতি কমিয়ে দিতে এটা দিয়ে অস্থায়ীভাবে একটা মাইন ফিল্ড তৈরি করা যায়। একই সাথে একটা শত্রুর অগ্রগতিকে একটা সীমার মধ্যে আটকে রাখা যায়।

পার্বত্য সীমান্ত এলাকাতে রকেট ব্যবহার করে মাইন স্থাপন করাটা ম্যানুয়ালি মাইন স্থাপনের চেয়ে অনেক সুবিধাজনক, কারণ এই এলাকাগুলোর আবহাওয়া অনেক প্রতিকূল এবং অক্সিজেনের মাত্রাও সেখানে অনেক কম। তাছাড়া সেখানকার তাপমাত্রা কম, ভূমি অসমতল ও বন্ধুর। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ গ্লোবাল টাইমসকে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান।

এই লঞ্চার দিয়ে নিক্ষেপ করা মাইনগুলো মাটির মধ্যে প্রবেশ করবে না, বরং মাটির উপরে ছড়িয়ে থাকবে। ফলে এগুলোকে চিহ্নিত করে পরিস্কার করাটা পরবর্তীতে সহজ হবে এবং এতে হতাহতের হার কমে যাবে। তবে শত্রুর গতি রুদ্ধ করার জন্য সেগুলো যথেষ্ট, বিশেষ করে যেখানে শত্রুর সাথে ভারি সরঞ্জাম থাকে।

বেশ কয়েক মাস ধরে চীন আর ভারতের মধ্যে উচ্চ সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের মধ্যে সিনিয়র কমান্ডার পর্যায়ে যে সপ্তম দফা বৈঠক হয়েছে, সেটা ইতিবাচক, গঠনমূলক হয়েছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল রে গুওকিয়াং।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com